১০ বছর ধরে আত্মজীবনী লিখলেন আবুল হায়াত

১০ বছর ধরে আত্মজীবনী লিখলেন আবুল হায়াত

ছবি: সংগৃহীত

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা আবুল হায়াত আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পা রাখবেন ৮১ বছরে। তার আগেই সেরেছেন আত্মজীবনী লেখার কাজ। ১০ বছর নিজের জীবনী বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন অভিনেতা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন আবুল হায়াতকন্যা বিপাশা হায়াত।

আবুল হায়াতের আত্মজীবনীর নাম ‘রবি পথ’ । ১০ বছর ধরে লেখার কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমকে আবুল হায়াত বলেন, ‘আমি আসলে খুবই অলস প্রকৃতির লোক। লিখি, ফেলে রাখি। দেখা গেল, কোনো দিন এক চ্যাপ্টার লিখেছি, কোনো দিন এক পৃষ্ঠা, দুই লাইন, তারপর বহুদিন পড়ে ছিল। এরপর আমার মেয়ে বিপাশা বলল, “বাবা তুমি লেখো না কেন?” আমি বিপাশাকে বললাম, লিখে কী হবে? আমার লেখা তো কোনো ক্ল্যাসিক কিছু হবে না। সে বলে, “ওই সব বোলো না। তোমার লেখা তোমার কাছে শ্রেষ্ঠ লেখা। তোমার জীবনী তোমার চেয়ে ভালো তো কেউ লিখতে পারবেও না। তাই তুমিই লিখবে। মনের তাগিদ থেকে লিখবে। যার ভালো লাগবে না, সে পড়বে না। যার ভালো লাগবে, পড়বে, পাশে রেখে দেবে।” এরপর আমি উৎসাহ বোধ করলাম যে ঠিক আছে, আচ্ছা। অনেকে উৎসাহিত হতেও পারে। সে হিসেবে বলা যায়, অনুপ্রেরণা আমার বড় মেয়ে। তৌকীরও উৎসাহ দিয়েছে। সে বলত, “আপনি লেখেন। যা মনে আসে, লেখেন।” কিছুদিন পরপর জিজ্ঞেস করত, “কত দূর হলো লেখা?” এ বছর তো আমাকে বলেছিল, “আপনার জন্মদিনে যেন অবশ্যই আত্মজীবনী পাই।” আমি ভাবলাম, এবার যদি লেখা শেষ করতে না পারি, তাহলে আর হবে না।’

আত্মজীবনী নিয়ে বর্ষীয়ান এ অভিনেতা বলেন, ‘এটা আমাকে নিয়েই লেখা। কোনো গল্প নয়, উপন্যাস নয়। নিজের জীবনের কথা লিখেছি। অনেকে উৎসাহী আমার কথা জানতে, অনেকে এমনটা বলে উৎসাহও প্রকাশ করেছে। আমার নিজেরও মনে হয়েছে, উত্তরপুরুষ যারা আসবে, আমার নাতি-নাতনি যারা এখনো অনেক কিছু জানে না, তাদেরও বংশধর হয়তো এক সময়...যদিও আই অ্যাম নট ভেরি ইমপর্ট্যান্ট পারসন, বাট ইভেন দ্যান তাদের কাছে তো আমি একজন ইম্পর্ট্যান্ট পারসন। হয়তো অনেকে এ–ও ভাবতে পারেন, তিনি কী এমন মানুষ যে তার আত্মজীবনী পড়ব। আমার মেয়েরা, তাদের স্বামী, নাতি-নাতনি, বংশধরেরা হয়তো পড়ে আগ্রহ বোধ করবে।’

আবুল হায়াত জানিয়েছেন ৩০০ পৃষ্ঠার হবে বইটি। প্রকাশ পাবে মেয়ে নাতাশার বান্ধবীর প্রকাশনী সংস্থা সুবর্ণ থেকে। চলতি মাসে আসার কথা আছে বইটির।