বন্যা মোকাবেলায় ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়াল সশস্ত্র বাহিনী

বন্যা মোকাবেলায় ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়াল সশস্ত্র বাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী উদ্ধার, ত্রাণ কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবা ত্বরান্বিত করতে ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়িয়েছে। বর্তমানে বন্যা কবলিত এলাকায় সেনাবাহিনীর ৩০টি, নৌবাহিনীর দুটি, বিমান বাহিনীর একটি এবং কোস্ট গার্ডের দুটিসহ সর্বমোট ৩৫টি ক্যাম্প মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে দুই হাজার ৭৭৮ জন সদস্য, ৯৮টি বোট ও নয়টি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার, ত্রাণ কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।

শনিবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক সর্বমোট ৫০ জন বন্যাদুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার, ৫৬ হাজার ৩৮৭ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী এবং এক হাজার ১৫০ জনকে রান্না করা খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে অস্থায়ী মেডিকেল টিমের মাধ্যমে মোট আট হাজার ৬৮৬ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এসময় সশস্ত্র বাহিনী ১৪টি হেলিকপ্টার সর্টির মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী কুমিল্লা এরিয়ার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ পুনঃসংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। নৌবাহিনী শনিবার ফেনী ও ভোলার বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন শনিবার ফেনী জেলার দুর্গাপুরে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি ফেনী জেলার দুর্গাপুর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিমান বাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিদর্শন করেন এবং বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।