সীমান্তে স্বর্ণা রানি হত্যার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

সীমান্তে স্বর্ণা রানি হত্যার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কিশোরী স্বর্ণা রানি দাশ নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে (শহিদ রুদ্র তোরণ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক ও শাবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হাসান শিশির।

তিনি বলেন, আমাদের ওপর একের পর এক ভারতীয় আগ্রাসন চলছে। কয়েক দিন আগে পানি ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে অনেক জেলা প্লাবিত হয়। সেই ক্ষত না শুকাতেই আমাদের বোন স্বর্ণা রানী দাশকে সীমান্তে হত্যা করা হয়েছে। বিএসএফ চাইলে তাকে আটক করতে পারতো। কিন্তু হত্যা করার অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছে? আমরা মনে করছি যে হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে ইজারা দিয়েছিল। ভারতে গিয়েও তার চক্রান্ত থেমে নেই।

কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফয়সাল হোসেন বলেন, ভারতের বিএসএফ সীমান্তে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশের সীমান্তে এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ চলে না। তারা নির্মমতার সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে, যা ইসরায়েলকে হার মানিয়েছে। এরপর সীমান্তে যদি আর একটা গুলি চলে, আমরা ভাববো নির্দিষ্ট মানুষের দিকে না, সারা বাংলাদেশের মানুষের ওপর গুলি ছুড়েছেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শাবিপ্রবি সমন্বয়ক ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সালেহ নাসিম বলেন, অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া আমাদের বোন স্বর্ণা রানিকে হত্যা করা হয়েছে। সীমান্তে যখন হত্যাকাণ্ড হয়, তখন আমাদের চোখে কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানীর লাশ ভেসে ওঠে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে সীমান্তে আমাদের আর একজন মারা গেলে আমরা ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করবো।

উল্লেখ্য, ১ সেপ্টেম্বর (রোববার) রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লালারচক সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণ হারান স্বর্ণা রাণী।