তারুণ্য ধরে রাখবে গ্রিন ডায়েট

তারুণ্য ধরে রাখবে গ্রিন ডায়েট

ছবি: সংগৃহীত

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কত কিছুই না করতে হয়! অনেক সময়, অর্থও খরচ করতে হয়। তবে আপনি যদি গ্রিন ডায়েট করা শুরু করেন, তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাবেন ফলাফল। ওজন কমবে, বাড়বে ত্বকের তারুণ্যও। 

গ্রিন ডায়েট-
গ্রিন ডায়েট মূলত সবুজ শাকসবজির ডায়েট। সব ধরনের শাকসবজি, ফল, বিভিন্ন জাতের ডাল, সয়া, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ইত্যাদি থাকে এ ডায়েটে। এসব খাবার পরিমাণ অনুযায়ী বয়স, ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক বিএমআই ও বি এম আর নির্ণয় করে দিনের ৬ বেলা খাবারের সময় ভাগ করে এই ডায়েটে সংযুক্ত করা হয়ে থাকে। গ্রিন ডায়েটে কোনো প্রাণীজ খাদ্য থাকবে না। অপ্রক্রিয়াজাত উদ্ভিজ্জ খাবার অর্থাৎ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ কোনটিই এ ডায়েটে থাকে না। 

এই ডায়েটে কেমন খাবার থাকবে-
বিভিন্ন ধরনের সালাদ, নিরামিষ, স্যুপ, বিভিন্ন ফলের স্মুদি, নারকেলের দুধ, বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে ভর্তা, ডালের বড়া, কুমড়োর বড়ি, সয়া বড়ি দিয়ে তরকারি ইত্যাদি থাকবে এ ডায়েটে। এই রান্না গুলো খুব সহজেই করা যায় এবং খরচও কম হয়। উত্তরবঙ্গের একটি সহজলভ্য খাবার পেলকা। এতে বিভিন্ন ধরনের শাক, খাবারের সোডা, সামান্য হলুদ, লবণ, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করা হয়। কোন প্রকার তেল ছাড়াই এ খাবারটি রান্না করা হয়। এই পেলকাতে সজনে পাতা দেয়া হয়। এ পাতায় দুধের থেকেও তিনগুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়াও এর অসংখ্য পুষ্টি গুণ  রয়েছে।

গ্রিন ডায়েট কেন করবেন-
গ্রিন ডায়েট কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এছাড়া যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এ ডায়েট পদ্ধতি। যাদের কাম্য ওজন না থেকে অনেক বেশি ওজন অর্থাৎ ওবেসিটি আছে, তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে গ্রিন ডায়েট। এই ডায়েটে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়ায়। 

যা মানতে হবে-
•    প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ লিটার পানি পান করতে হবে। 
•    অতিরিক্ত মসলাযুক্ত, ডুবোতেলে ভাজা খাবার, ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে। প্রতিদিন ঋতুভিত্তিক ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
•    কোন ধরনের কোমল পানীয় পান করা যাবে না এবং বাইরের জুস, শরবত থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। যাদের দুধ চা ও কফির অভ্যাস রয়েছে তারা  এইসবের পরিবর্তে গ্রিন টি, ওলংটি, তুলসি চা অথবা মসলা চা পান করতে পারেন।
•    প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘন্টা ঘুমাতে হবে, রাতের খাবার ঘুমানোর ২ ঘন্টা আগে শেষ করতে হবে।
•    কোন ধরনের মানসিক চাপ নেয়া যাবে না। পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।