নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে নদীভাঙন

নামছে বন্যার পানি, বাড়ছে নদীভাঙন

সংগৃহীত ছবি

বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় মিরসরাইয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। আতঙ্কে দিন পার করছেন ফেনী নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় অতিরিক্ত পানির চাপ ও স্রোতে নদীর মিরসরাই অংশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের আমলীঘাট থেকে শুভপুর পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক জায়গা ভাঙনের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে মোল্লা বাড়ি, তিলকের খাল, চোধুরী বাড়ির প্রায় অর্ধশত বসতঘর ভাঙনের কবলে পড়ছে। ফেনীর ছাগলনাইয়া অংশে নতুন চর জাগায় এ অংশে স্রোত তীব্র হচ্ছে। এতে নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন।

এ দিকে স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর ফেনী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে শতশত বসতবাড়ি ও হাজার হাজার একর কৃষিজমি। কয়েক বছর নদীভাঙন বন্ধ থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় মিরসরাই অংশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া ব্লক বন্যায় তলিয়ে গেছে।

এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে পুরো গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা যায়, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী ও ধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর, পশ্চিম জোয়ার, ধুম ইউনিয়নের মোবারকঘোনা ও শুক্কুরবারইয়াহাট গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।

ধুম ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম কালা বলেন, ‘৭৫ বছর বয়সে এমন বন্যা দেখিনি। এবার এলাকার মানুষ ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পানি নেমে যাওয়ায় নদীভাঙন মানুষের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।’

মিরসরাই উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবদুল কাদের বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ঊর্ধ্বতনকে জানানো হবে।’

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনই ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বিলীন হতে পারে শত শত বসতঘর।’