গাজীপুরে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

গাজীপুরে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জের মোক্তারপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক আকলুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও চারজন।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের নাশু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এমদাদুল হক ওরফে আকলু (৬০) উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।

তিনি মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

আহতরা হলেন- উপজেলার রাথুরা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫), ফাইজ উদ্দিন শেখের ছেলে মনজু শেখ (৬০), রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইসমাইল শিকদারের ছেলে সীমান্ত শিকদার (২৪) এবং বজলুর সরকারের ছেলে মেহিদী হাসান সরকার (৩০)।

স্থানীয়রা জানান, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমদাদুল হক গ্রুপের সমর্থন ছিল সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আখতারুজ্জামানের পক্ষে। অপরদিকে প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ গ্রুপ সরাসরি সমর্থন দিয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকিকে (নৌকা)। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল অনেক দিন ধরেই। সম্প্রতি ক্ষমতার পালাবদলের পর এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার এমদাদুল হক গ্রুপের লোকজন নূর মোহাম্মদ গ্রুপকে আওয়ামী লীগের দালাল আখ্যা দিয়ে এলাকায় প্রচার চালায়।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এমদাদুল হকের নেতৃত্বে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ৮-১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় মহরা দিয়ে মিছিল করে। একপর্যায়ে তারা কাপাসিয়া থানার দূর্গাপুর ইউনিয়নের নাশু মার্কেট এলাকায় অবস্থান নিলে নূর মোহাম্মদ গ্রুপের প্রায় ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ মিলে তাদের ধাওয়া করে। সে সময় এমদাদুল হকের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ছাড়া হামলায় এমদাদুল হক গ্রুপের চারজন আহত হয়। আহতদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে ঘটনার পর দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম তোরণের বাড়িতে ও অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নাজমুস সাকিব খান বলেন, ‘বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’