ইমরান খানকে মুক্তি দিতে আল্টিমেটাম
সংগৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে মুক্তি দিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। পাঞ্জাবে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা এই আল্টিমেটাম দেয়।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে খাইবার পাকতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্ধাপুরি আল্টিমেটামটি ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়া না হলে আমরা নিজেরাই তাকে মুক্ত করব।’
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই সমাবেশ হয়। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ইমরান খানের সমর্থকরা তার মুক্তির দাবিতে সমাবেশস্থলে ছুটে আসেন। সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পিটিআই সমর্থকদের আটকাতে বিভিন্ন রাস্তায় কনটেইনার রাখাসহ বিভিন্ন বাধাবিপত্তি তৈরি করা হয়। তা সত্ত্বেও জনতার ঢল নামে এই সমাবেশে।
পিটিআই বলছে, চলতি বছর দলটির অন্যতম বড় সমাবেশ ছিল এটি। শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয় কর্মসূচি। সমাবেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে ইমরানকে মুক্তির আল্টিমেটাম দেন সমর্থকরা।
জনসভার শুরুর সময় পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহার বলেন, সমাবেশে ক্ষমতাসীন শাসকদের বাধা প্রমাণ করে যে তারা বন্দী ইমরান খান এবং তার সমর্থকদের ভয় পায়। তিনি পাঞ্জাবে একটি আন্দোলন শুরু করার ইঙ্গিত দেন এবং দলীয় কর্মীদের ‘প্রস্তুত’ থাকার আহ্বান জানান।
রাজনীতিবিদ শের আফজাল মারওয়াতও একই কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, তারা শিগগিরই জেলে থাকা ইমরানের মুক্তি এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য পাঞ্জাবে সমাবেশ করবেন।
আফজাল আরও বলেন, আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ৫০ হাজার লোক নিয়ে পাঞ্জাবে প্রবেশ করব।
দলটির আরেক নেতা মুহাম্মদ আলী খান বলেছেন, তারা কখনোই ভাবেননি যে ইমরান খানকে জেলে যেতে হবে। এছাড়া আর কাসিম সুরি, শেহরিয়ার আফ্রিদি এবং মুরাদ সাইদসহ আরও অনেক পিটিআই নেতাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। ইমরানকে মুক্তি না দেয়া হলে ক্ষমতাসীনদের জনসমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।