ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাচ্ছে চীনের তৈরি মাংকিপক্স ভ্যাকসিন

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাচ্ছে চীনের তৈরি মাংকিপক্স ভ্যাকসিন

ছবিঃ সংগৃহীত।

চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের তৈরি মাংকিপক্সের (এমপক্স) একটি ভ্যাকসিনকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে চীনের শীর্ষ ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। মারাত্মক প্রাণঘাতী এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চীনের প্রথম পরীক্ষামূলক টিকা হতে চলেছে এটি। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিনোফার্মের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ খবর।

বিবৃতিতে বলা হয়, শাংহাই ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস দ্বারা তৈরি এবং সিনোফার্ম দ্বারা প্রয়োগকৃত ভ্যাকসিনটি এমপক্স সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চীনে একটি ভ্যাকসিন সাধারণত বাজারে আসার অনুমোদন পাওয়ার আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তিনটি ধাপের মধ্য দিয়ে যায়। প্রক্রিয়াটি কয়েক বছর, এমনকি কয়েক দশকও সময় নিতে পারে। তবে চীনের শীর্ষ ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জরুরি প্রয়োজনে কিছু ভ্যাকসিনের পরীক্ষার গতি বাড়ানোর ব্যবস্থাও রেখেছে।

কোম্পানির মতে, নতুন ভ্যাকসিনটি এমভিএ নামের একটি স্ট্রেইনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এটি ২০১৯ সালে তৈরি করা যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ প্রশাসনের অনুমোদিত বিশ্বের প্রথম এমপক্স ভ্যাকসিন জাইনিয়সের মতোই কাজ করবে।

সংস্থাটি বলছে, প্রাক-ক্লিনিক্যাল গবেষণায় ভ্যাকসিনটি নির্ভরযোগ্য ও স্থিতিশীল বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মানুষ ছাড়া কিছু প্রাইমেটের মধ্যে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।

চীনে বর্তমানে কোনও অনুমোদিত এমপক্স ভ্যাকসিন নেই। বিশ্বব্যাপী, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও রাশিয়ায় কয়েকটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১৪ আগস্ট বলেছে, আফ্রিকায় এমপক্সের প্রাদুর্ভাব জনস্বাস্থ্যে একটি জরুরি অবস্থা তৈরি করেছে।এখন পর্যন্ত, এমপক্সে সারা বিশ্বে ১২০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে এক লাখেরও সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত ২২৬ জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।

চীন গত বছরের সেপ্টেম্বরে এমপক্সকে ক্লাস বি সংক্রামক রোগ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে— যা কোভিড-১৯ ও এইচআইভি/এইডসের সমতুল্য।