মধ্যপাড়া খনিতে ফের পাথর উত্তোলন শুরু

মধ্যপাড়া খনিতে ফের পাথর উত্তোলন শুরু

ফাইল ছবি

দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে একদিন বন্ধ থাকার পর আবারও পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে পুরোদমে পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) শ্রমিকরা পাঁচ দফা দাবিতে খনির মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (জিটিসি) ওইদিন সকাল থেকে পাথর উত্তোলন করা বন্ধ করে দেয়। ওইদিন রাতেই দুপক্ষের বৈঠকে সমঝোতার ভিত্তিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরেরদিন সকাল থেকে আবারও উৎপাদন কাজ শুরু হয় এবং শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন।

জানা গেছে, মধ্যপাড়া খনির উৎপাদন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রাস্ট কনসোর্টিয়াম কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসি) নিয়োগ করা খনি শ্রমিকের সংখ্যা ৮৫০ জন। শ্রমিকরা বেশ কিছু দাবি নিয়ে কিছুদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করে আসছিল। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আবারও পাঁচ দফা দাবিতে তারা খনির মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় তারা তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবি গুলো হচ্ছে- আন্তর্জাতিক আইন মেনে প্রতিটি খনি শ্রমিকদের মাসিক বেতন-ভাতা, উৎসব বোনাস ও ছুটি দিতে হবে। চুক্তির শর্ত মোতাবেক বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি করতে হবে। ছাটাই করা খনি শ্রমিকদের অনতিবিলম্বে নিঃশর্তভাবে নিয়োগ প্রদান করতে হবে এবং মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অজুহাতে কোনো শ্রমিককে ছাটাই করা যাবে না। সরকার ঘোষিত ছুটি ও যান্ত্রিক ত্রুটি এবং জিটিসি কর্তৃপক্ষ ঘোষিত ছুটিতে বেতন-ভাতা কাটা যাবে না। কোনো শ্রমিককে ছাটাই করতে হলে তিন মাসের বেতন প্রদান করতে হবে।

এদিকে সকাল থেকে পাথর উত্তোলন কাজ বন্ধ করায় শ্রমিকদের মাঝে আরও উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং জিটিসির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন আরও জোরদার করে। তারা সকাল থেকে খনির মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এ ঘটনায় পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পেট্রো বাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসির কর্মকর্তারা এ নিয়ে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসেন। একপর্যায়ে শ্রমিকদের দাবিগুলোর বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে দাবি মানার আশ্বাস দেন, এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে খনির উৎপাদন কাজ শুরু করা হয় এবং শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন।