আশুলিয়ার আরও ২৯ পোশাক কারখানা খুলেছে

আশুলিয়ার আরও ২৯ পোশাক কারখানা খুলেছে

সংগৃহীত ছবি

সাভারের আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। বন্ধ থাকা ২৯ পোশাক কারখানায় যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে এখনও ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও শিল্প পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়ায় শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, আশুলিয়া-ডিইপিজেড আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুরে হা-মীম গ্রুপের পোশাক কারখানা চালু রয়েছে। এ ছাড়াও একই এলাকার শারমিন নামে বড় পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। নিশ্চিন্তপুরে নিউএইজসহ নাসা গ্রুপের সবকটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে দেখা যায়। তবে মদিনা ও পার্ল গার্মেন্টসসহ ২০টি পোশাক কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক টেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, শনিবার বাংলাদেশ রপ্তানিকারক ও প্রস্তুতকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিদ্ধান্তের পরও কয়েকটি পোশাক কারখানা মালিক পক্ষ বন্ধ রেখেছে। তবে অধিকাংশ কারখানা চালু রয়েছে। সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। তবে শ্রমিকদের নামে মামলা দিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের ১৩ (১) ধারায় কারখানা বন্ধ রাখা যৌক্তিক নয়। এক্ষেত্রে মালিক পক্ষকে শ্রমিকদের প্রতি আরও আন্তরিক হতে হবে বলে জানান তিনি।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আজ ১৮টি কারখানা ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া দুটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি অনেকাংশেই উন্নতির দিকে, শ্রমিকরা কাজে ফিরতে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৈরি পোশাকশিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। আর পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে দুই কোটি মানুষ। এ শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।