জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বুধবার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে, উন্নয়নশীল বিশ্বে "পুরোপুরি ঝড়" বয়ে যাচ্ছে, যা তাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার হুমকি দিচ্ছে।
ইউক্রে
রাশিয়া দাবি করেছে যে ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে দেশটির সহস্রাধিক সেনা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। বুধবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায় জোরদার লড়াইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু'পক্ষই সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে।
রাশিয়ার হামলার মুখে আত্মরক্ষার অধিকার মেনে নিয়ে ইউরোপের দেশগুলি ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম ও কৌশলগত সহায়তা করছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যায়ে এক তহবিল থেকে সেই লক্ষ্যে আর্থিক সহায়তাও করা হচ্ছে৷
ইউক্রেনের সাথে রাশিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে বিশ্বব্যপী খাদ্য সংকট বেড়ে যাওয়ার জন্য মস্কোকে দায়ী করা হচ্ছে।
দেশটিতে মস্কোর আগ্রাসনে গমের মজুদ লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো এবং জাহাজের মাধ্যমে কিয়েভ হতে খাদ্যশস্য বহন ব্যহত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
রাশিয়ার আসন্ন আগ্রাসী হামলার আতঙ্কে হাজার হাজার লোক পালিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন দেশটির পূর্বাঞ্চলে মস্কোর বিরুদ্ধে ‘বড় যুদ্ধের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার কট্টর সমর্থক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দেখা করেছেন। শনিবার কিয়েভে এ দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হয়েছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স। বৈঠক শেষে ইউক্রেনে নতুন অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেন বরিস জনসন।
"আপনি যখন সারাক্ষণ কেবল সাইরেনের আওয়াজই শুনছেন, ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্কুল, হাসপাতাল এবং বাড়ির ছবি দেখছেন, তখন কীভাবে আপনি স্বাভাবিক থাকবেন," প্রশ্ন করছেন নিয়ারা মামুতোভা। "লাশ এবং পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি দেখে আমি রীতিমত অসুস্থ হয়ে যাই। আমি মানসিক চাপে ভুগি।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মস্কো। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ক্যানবেরা ও ওয়েলিংটন। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মস্কো। বার্তা সংস্থা এএফপি বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বলছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পুরো ইউক্রেন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার তার উচ্চাকাক্সক্ষা বাদ দিয়েছেন এমন কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ যুদ্ধ দীর্ঘ সময় চলতে পারে।