দক্ষিণ থেকে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া ভূখণ্ড, পূর্ব দিকে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের সীমান্ত ও উত্তরে রুশ মিত্র বেলারুশে সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
ইউক্রে
যে কোনও মুহূর্তে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসতে পারে- পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো থেকে এমন হুঁশিয়ারি পেয়ে এক ডজনেরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে নাটকীয় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, বিমান থেকে বোমা ছুঁড়ে বেসামরিক নাগরিকদের দিয়ে রাশিয়া যে কোন দিন ইউক্রেনে হামলা শুরু করতে পারে। দেশটি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, আমেরিকার সব নাগরিককে দ্রুত ইউক্রেন ছেড়ে আসতে বললেন বাইডেন।বাইডেন জানিয়েছেন, মস্কো যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে আমেরিকার নাগরিকদের উদ্ধার করতে তিনি সেনা পাঠাতে পারবেন না।
ইউক্রেনে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের চিন্তা করাই মারাত্মক জটিল বিষয়ক, কারণ রাশিয়া দেশটিতে অভিযান চালালে বহু মানুষ যেমন মারা যেতে পারে তেমনি পালাতে হতে পারে আরো অনেককে।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে বিতর্ক ও শঙ্কার মধ্যেই দুই দেশের প্রতিবেশী বেলারুশের সামরিক বাহিনীর সাথে যৌথ মহড়া শুরু করেছে রুশ সামরিক বাহিনী।
এমানুয়েল মাক্রোঁ মস্কো যাচ্ছেন আজ (সোমবার)৷ সফরের প্রধান উদ্দেশ্য- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের আশঙ্কা কমানো৷
রাশিয়ার সাথে যেকোনো সময় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে এ আশঙ্কায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে সম্ভাব্য লড়াইয়ের জন্য তৈরি করে তুলছে নানা দেশ। তার মধ্যে একটি হচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কের তৈরি ডজন ডজন ড্রোন ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে। আর শুধু তাই নয়, আংকারা আর কিয়েভের মধ্যে একটি নতুন চুক্তিও হয়েছে, যার ফলে ইউক্রেনের কারখানাতেই এখন তৈরি হবে তুরস্কের ডিজাইন করা ড্রোন
রাশিয়া ইউক্রেনে বড় ধরনের আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এ ধরনের হামলার জন্য যে সামরিক শক্তি প্রয়োজন তার ৭০ শতাংশ তারা মোতায়েন করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা পর্যালোচনা উদ্ধৃত করে মার্কিন কর্মকর্তারা এ খবর জানান ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ইউক্রেন সঙ্কট সমাধানে মধ্যস্থের ভূমিকা পালনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন তুরস্ক, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব তুরস্ক সমর্থন করে।