ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও জয়ী না হওয়া পর্যন্ত তারা গাজা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকুক বা না থাকুক গাজায় যুদ্ধ চলবে।
ইসরায়েলি হামলা
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৩৩ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটির ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিউএ)। ইউএনআরডব্লিউএ বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের একটি স্কুলে আবারও ইসরায়েলি হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। ভূখণ্ডটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ওই স্কুলে চালানো হামলায় তারা প্রাণ হারান। হামলার শিকার এই স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত লোকেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন
যুদ্ধবিরতির পর থেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েল আরও তীব্রতার সাথে হামলা চালানো শুরু করেছে। এতে ফিলিস্তিনের প্রখ্যাত এক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, মধ্যরাতের ওই বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি শরণার্থী শিবিরে জোড়া হামলার ঘটনায় ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত লোকজনের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত জাতিসংঘের একটি স্কুলও রয়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসময় কমপক্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিন শাসিত গাজা এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ৭ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সাংবাদিক-সহ ৪০ গণমাধ্যম কর্মী নিহত হয়েছেন।
গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-মাগাজি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে এ হামলা চালানো হয়। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানা গেছে।