জাতীয় সংসদে আজ বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২ এর ওপর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে।
ইসি গঠন
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বরেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে দিলেই কেবল বিএনপি খুশি হবে, অন্যথায় নয়’।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিয়ে কমিশনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো ও আইন প্রণয়নসহ চার প্রস্তাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি আজ সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের অংশ হিসেবে প্রথম দিনেই জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদপূর্তির আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ যে সংলাপ শুরু করেছেন তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে যথেষ্ট নয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ‘রাষ্ট্রপতি একটি, ‘স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শক্তিশালী ও কার্যকর’ একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আগামী রোববার অথবা সোমবারই আলোচনায় বসছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে।’
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের বিধানাবলীর সাপেক্ষে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন দেশের ৫৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক।