চলমান যুদ্ধের সময় গাজার অন্তত ১৬টি কবরস্থান গুড়িয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। শনিবার (২০ জানুয়ারি) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজা
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় প্রাণ হারিয়েছে ওই উপত্যকার ২৪ হাজার ৭৬২ জন। এর মধ্যে প্রায় ১৬ হাজারই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে দু’জন মাকে হত্যা করা হয়।
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাস্সাম ব্রিগেডের রকেট হামলায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
টানা ১০৪ দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর এই হামলার চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায়। বোমাবর্ষণের কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা। একইভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের তালিকা।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্মম হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
কাতারের মধ্যস্থতায় গাজাবাসী এবং জিম্মিদের ত্রাণ সহায়তার বিষয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে হামাস ও ইসরায়েল।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ হাজার ৬০০ শিশু নিহত হয়েছে।
কায়রো-ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ‘আল গাদ’-এর এক ভিডিও-সাংবাদিক রোববার গাজায় ইসরায়েলী হামলায় নিহত হয়েছে।
গাজার পাশাপাশি এবার পশ্চিম তীরেও উত্তেজনা বাড়ছে। রোববার (১৪ নভেম্বর) সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।