বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়‘মোখায়' পরিণত হয়েছে এবং এটি রবিবার যেকোনো সময় স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর এমন তথ্য দেয়ার পর থেকে কক্সবাজারে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা।
ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এখান থেকে জরুরি হটলাইন নম্বরে (০২৩-৩৩৩-৬৩০-৭৩৯) ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও সেবা পাবেন চট্টগ্রামবাসী। পাশাপাশি জানমালের ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খুলনায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলার জন্য ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও উপকূলের মানুষকে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রবিবার ভোরের মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে। এ ঘূর্ণিঝড় রূপ নিতে পারে সুপার সাইক্লোনে। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এখন সাগর উত্তাল।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের মানুষও কম আতঙ্কে নেই। দেশের আবহাওয়া অফিস যেমন প্রতিমুহূর্তে মোখার সর্বশেষ তথ্য দিচ্ছে, তেমনি ভারতের আবহাওয়াবিদরাও পূর্বাভাসে ঝড়ের গতিবেগ এবং ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করছেন।
ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোনের রূপ নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি আজ (বুধবার) দুপুরের আগেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) রাত সোয়া ৯টায় এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
আবারো তীব্র তাপপ্রবাহের মুখোমুখি বাংলাদেশের মানুষ। আর এর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে চলছে ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা’ নিয়ে আলোচনা।
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের ভোলা ও কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে পরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলের দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।