বাংলাদেশে আরো একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে এই ঝড় আসতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানার ফলে বাংলাদেশের ৯টি জেলায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে ওঠা এবং জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি থাকায় সিত্রাংয়ের কারণে যতটা ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, এই ঝড়ে সেরকম কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। কারণ ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল ছিল। শুধু বৃষ্টি আর বাতাস বেশি হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং- এর প্রভাবে সোমবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে এবং জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে যানচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনে ব্যাঘাত ঘটায় সারাদেশের প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে ।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌঅঞ্চলে মোতায়েনের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৭টি জাহাজ, দুটি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) এবং দুটি হেলিকপ্টার প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের উপকূলে। সোমবার সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করার সাথে সাথে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দেশের উপকূলবর্তী তিন বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ ঘোষণা দেয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান।তিনি বলেন, এই ঝড় উপকূলীয় ১৩ জেলায় মারাত্মক এবং দুই জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানবে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বরগুনার পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া।