আরব সাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ এ পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তি বাড়িয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড়
সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বর্ষার আগমনের মুখে বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি দেখা যাচ্ছে। আর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ঘূর্ণিঝড়ের নিশানা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। এই ঘূর্ণিঝড়ে সওয়ার হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বর্ষা ঢুকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এত তাড়াতাড়ি নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দিতে রাজি নন আবহাওয়াবিদরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুয়াম দ্বীপে ব্যাপক শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে দানবীয় ঘূর্ণিঝড় ‘মাওয়ার’। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে ব্যাপক প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় দ্বীপটি জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা'র প্রভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর জন্য জাতিসঙ্ঘ ও এর অংশীদাররা মঙ্গলবার চার কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলারের আবেদন করেছে।
মিয়ানমারে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১৪৫ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১১৭ জন মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু সদস্য। শুক্রবার (১৯ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে তেমন প্রভাব না ফেললেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে মিয়ানমারে। একটি এলাকায়ই ৪০০ মানুষের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঘূর্ণিঝড় মোখা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে চলে গেছে।সংস্থাটির পরিচালক আজিজুর রহমান রবিবার রাত আটটায় বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ''এটা আমাদের দেশ থেকে পুরোপুরি চলে গেছে।
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র মূল কেন্দ্র কক্সবাজারের ২৫০ কিলোমিটার কাছে চলে এসেছে। ইতোমধ্যে এর অগ্রভাগ কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে।