উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিস্তা
কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ। উজানের পানি নিয়ন্ত্রণ করতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন র্বোড।
নীলফামারীসহ তিস্তা সেচ এলাকা জুড়ে সেচের পানি নিশ্চিত করতে ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়ায় মানুষের মাঝে ফিরেছে স্বস্তির আশ্বাস।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।
তিস্তা চুক্তি না হওয়াটা একটা দুঃখজনক বাস্তবতা বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের মাধ্যমে পাহাড়ি ঢল হু হু করে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে।
তিস্তার পানি নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে প্রস্তাবিত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে ভারতীয় পক্ষ কাজ করছে। এদিকে, সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আট বছর আগে দুই দেশের সরকারের সম্মতি অনুযায়ী বাংলাদেশ এ চুক্তি আশু স্বাক্ষরের জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে।