তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে বন্যায় লালমনিরহাটের ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
তিস্তা
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভাঙন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। গত এক সপ্তাহে তিস্তা নদীর তীরবর্তী বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
ভারতে উজানের ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ফের বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার পানি। কয়েক সপ্তাহ পানি কম থাকলেও সোমবার দুপুর থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি।পানির চাপ মোকাবিলায় ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতের উজানের ঢলে তিস্তার পানি ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।বুধবার দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপরে।
বইরী আবহাওয়ার কারণে বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারো হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে।
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তিস্তার পানি এখন বিপদৎসীমা ছুঁই ছুঁই। রোববার সকাল ছয়টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি ছিল বিপদসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচে। যেকোনো মুহূর্তে তা বিপদৎসীমা ছারিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড
উজানে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে নেমে আসা ঢল ও স্থানীয়ভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তবে তা বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়েই প্রবাহিত হবে।
কুড়িগ্রামে কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এ সময় ছয়টি বাড়ি ভেঙেছে। হুমকিতে রয়েছে আরো ৭০-৮০টি বাড়ি। অসময়ে তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের লালমনিরহাট অংশের একটি ফ্লাড বাইপাস বাঁধ ভেঙে গেছে। এই এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।