জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে তৃতীয় দিনের মতো পরিবহন বন্ধ রেখেছে মালিকেরা। এতে চরম ভোগানিতে পড়েছে অফিসগামী ও জরুরী কাজে কাজে বাহির হওয়া সাধারণ মানুষ।
ধর্মঘট
বাংলাদেশে পরিবহন খাতের গত দুদিনের অচলাবস্থা নিরসনে আজ রবিবার বেলা এগারোটার দিকে বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে সরকারের একটি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লঞ্চ মালিক সমিতি লঞ্চ ও স্টিমারের ভাড়া বৃদ্ধির যে দাবি করেছিল, সেবিষয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সাথে শনিবার লঞ্চ মালিক সমিতির যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা রোববার অনুষ্ঠিত হবে।এ
সারাদেশের মতো কুষ্টিয়াতেও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২য় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ট্রাক-বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা ধর্মঘট বাস্তবায়নে দূরপাল্লার ও স্থানীয় সকল পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে রোববার সকাল ৬টা থেকে বাস চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতি।শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ‘আমরা মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের সমিতির অধীন যে বাসগুলো আছে তা আগামীকাল (রোববার) সকাল থেকে আবারো চলাচল করবে।’
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সকাল থেকে সারা দেশে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন মালিকরা। ফলে রাজধানীসহ সারা দেশেই সাধারণ মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। জ্বালানি তেলের বর্ধিত এ দাম না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানিয়েছেন পণ্য পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের আশ্বাসে সিলেটে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রেস্টুরেন্ট মালিক শ্রমিকরা। মঙ্গলবার রাতে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন।
১৫ দফা দাবি আদায়ে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত আসে।
মহাসড়কে চাঁদাবাজি ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে পাবনা জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন।