প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় গত কয়েক দিনে মধ্য ইউরোপের ৬ দেশে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ভয়াবহ বন্যা
মিয়ানমারে কয়েক দিনের টানা বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১১৩ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া বাস্ত্যুচুত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ। রোববার মিয়ানমারের সামরিক সরকার এক বিবৃতিতে প্রাণহানির এই তথ্য জানিয়েছে।
মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় চলমান ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল। প্রদেশটিতে শহরের পর শহর তলিয়ে গেছে পানিতে।
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে চীনের গুয়াংডং প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।
শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় পড়েছে চীন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন ভয়াবহ বন্যা প্রতি একশ বছরে মাত্র একবারই দেখা যায়।
তীব্র বন্যার কবলে পড়েছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গো। ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দেশটির বুকাভু শহরে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৪০ জনের।
চীনের হংকংয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশটির ওই অঞ্চলটি টাইফুন কোইনুর তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে। এখন হংকং থেকে গুয়াংডং অঞ্চলে প্রবেশ করেছে ঝড়টি।
আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যার পর উদ্ধারকারীরা লাশ উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, সুনামির মতো বন্যার পানিতে সাগরে ভেসে গেছে ক্ষতিগ্রস্তদের মৃতদেহ।