কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও ওয়াকিটকি সেটের চার্জারসহ আরসা'র এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে এপিবিএন পুলিশ।
রোহিঙ্গা
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় গত সাড়ে পাঁচ বছরে কমপক্ষে ১৬৪টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এর মধ্য গত দুই বছরে এ সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পজুড়েই এখন মিয়ানমারে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে। কিন্তু দুবারের ব্যর্থতার পরে এবারও প্রত্যাবাসন সফল হবে কিনা, তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গ্রুপের এলোপাতাড়ি গুলিতে তিন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। পরে সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গাদের গণপিটুনিতে হামলাকারী এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের মংডু এলাকা পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে শুক্রবার (৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫ টায় তারা টেকনাফ জেটি ঘাটে ফেরে।
মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করেছে ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। যেখানে ৩ নারীসহ ২০ জন রোহিঙ্গা, একজন অনুবাদক ও ৬ জন বিভিন্ন দপ্তরের বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার জন্য ২টি বিজিবির স্পিডবোটসহ ১৬ জন বিজিবি সদস্য রয়েছেন।
জনগণ এবং বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাসের প্রসঙ্গ টেনে বিশ্বশান্তির জন্য দৃশ্যমান হুমকিসমূহ মোকাবেলা এবং রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের মতো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের সুরক্ষায় সংহতি ও ঐক্য প্রদর্শনের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ২০ জনের একটি দল যে মিয়ানমারে যাচ্ছে, প্রত্যাবাসনের এ প্রচেষ্টাও শেষ অবধি ‘আইওয়াশ’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না। কেউ আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশ মায়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ভারতকে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।