রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ওয়ার্কিং কমিটির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৈঠক মিয়ানমারের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হয়ে গেছে।

মিয়ানমারের পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও অং সান সু চি-কে আটকের পর ওই দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে দিনভর চলছে কানাঘুষা। 

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান কি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো প্রভাব ফেলবে? বাংলাদেশ তেমনটি আশা না করলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে যেতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন রোববার বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পূর্ব নির্ধারিত আলোচনার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের যাচ্ছে আরো এক হাজার ৪৬৪ রোহিঙ্গা শরণার্থী।

রোহিঙ্গাদের আরও একটি দলকে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে। চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে ভাসানচরের যায় রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গাদের আরও একটি দলকে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে চারটি জাহাজে ভাসানচরের উদ্দেশে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।

আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার দুই দিন আরো সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে নেয়ার কার্যক্রম চলছে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ কোনো ধরনের বিরোধে না জড়িয়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে মিয়ানমারের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।