বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও নিয়ন্ত্রণে যে লকডাউন জারি করা হয়েছিল, সেটি তুলে নেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি বলছে, সরকার তাড়াহুড়ো করে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এর ফলে সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
লকডাউন
আবারো কঠোর 'লকডাউন' বা বিধিনিষেধ আরোপের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারো 'লকডাউন' আরোপ করা হবে।
পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে মোট আসনের শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। একইসঙ্গে সড়কে অর্ধেক যানবাহন চলার নিয়মও তুলে নেয়া হয়েছে। ১৯ আগস্টে থেকে চলবে সব গণপরিবহণ।
দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আজ বুধবার থেকে শিথিল করছে সরকার। কাল থেকে সব সরকারি-বেসরকরি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। চলবে সকল ধরনের গণপরিবহন।
শিল্পকারখানা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলকে আওতার বাইরে রেখে চলমান বিধিনিষেধ আরও পাঁচদিন অর্থাৎ আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনার টিকা দেয়া সাপেক্ষে ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলবে।
সর্বাত্মক লকডাউন দিয়েও করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। সংক্রমণ ও মৃত্যু পরিস্থিতি বর্তমানে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছে। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে গত দেড় বছরের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ডের এমতাবস্থায় দেশব্যাপী কঠোর বিধি নিষেধ শেষ হচ্ছে ৫ আগস্ট। লকডাউন আরও বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জার্মান সরকারের নেয়া নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাজধানীর বার্লিনে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তবে বিক্ষোভে যোগ দেয়া কয়েকশ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
বাংলাদেশে লকডাউনের মধ্যেই চালু হয়েছে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা৷ শনিবার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার ভয়াবহ ভোগান্তির পর ১৬ ঘন্টার জন্য লঞ্চ ও বাস চালু হয়৷ এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির প্রধান৷
কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না- তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।