আইসোলেশনে থাকবেন ফুটবলাররা : বাফুফে

আইসোলেশনে  থাকবেন ফুটবলাররা :  বাফুফে

ছবি:সংগৃহীত

করোনা ভাইরাসের কারণে আর কোনো ব্যতয় না ঘটলে আগামী ৮ অক্টোবর শুরু হবে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ দিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বাংলাদেশ দলের। ১৩ অক্টোবর কাতারের সাথে ম্যাচ। এ দুই ম্যাচকে ঘিরে সেপ্টেম্বরে ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা জামাল ভূইয়াদের। তবে ক্যাম্প উঠার আগে আইসোলেশনে রাখা হবে সব ফুটবলারকে। করোনা টেস্ট করানো হবে সব ফুটবলারকে। শুধু খেলোয়াড়ই নন, দলের অন্য স্টাফ এবং কোচদেরও রাখা হবে আইসোলেশনে। করানো হবে মেডিক্যাল টেস্ট। আর এই জন্য ফুটবলারদের সবাইকে একত্রে ক্যাম্পে ডাকা হবে না। ডাকা হবে ধাপে ধাপে। বুধবার ন্যাশনাল টিমস কমিটির অনলাইন সভা শেষে এ কথা জানান বাফুফের সহ-সভাপতি এবং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।

ফুটবলাররা ক্যাম্পের শুরুতেই যদি ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকেন তাহলে তাদের ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার মতো সময় হাতে পাওয়া যাবে না। তাই মূল ক্যাম্পের আগেই ডাকা হবে খেলোয়াড়দের। তা করোনা টেস্ট এবং আইসোলেশন ক্যাম্পের জন্য। তাই ক্যাম্পের প্রক্রিয়া শুরু হবে আগস্টের ৪ বা ৫ তারিখ থেকে। আর কোচ জেমি ডে’র সাথে নতুন মেয়াদের দুই বছরের চুক্তিটাও ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলেও উল্লেখ করেন কাজী নাবিল।

এই ক্যাম্প ঢাকায় বা ঢাকার বাইরে হতে পারে। সব কিছুই সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী। আফগানিস্তানকে হারানোর জন্য জাতীয় দলের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলাটা জরুরী। এটা এমনিতেই প্রয়োজন। তাছাড়া এখনওতো করোনার জন্য ফুটবলাররা সব ধরনের খেলার বাইরে তিন মাস ধরে। তাই প্রস্তুতি ম্যাচের গুরুত্বটাও বেড়ে গেছে। কিন্তু করোনা ভয়াবহতায় কোনো অতিথি দলের সাথে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলাটাও কঠিন। আর এই ম্যাচ কোথায় হবে সেটাও জটিল একটি বিষয়। অতিথি দল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসতে রাজী হবে কিনা বা তারা লাল সবুজদের নিজ দেশে নিয়ে যাবে তাও জানার অপেক্ষা।

যদি কোনো বিদেশী দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে না পাওয়া যায় তাহলে বড় সমস্যা। অবশ্য এর বিকল্পও ঠিক করেছে ন্যাশনাল টিমস কমিটি। ক্যাম্পে সেই পরিমাণ ফুটবলার ডাকা হবে যাতে দুটি দল গড়া যায়, জানান নাবিল। এতে স্থানীয় ফুটবলারেরা নিজেরাই প্রয়োজনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারবে। এর আরেকটি সুবিধা আছে, জাতীয় দলের ফুটবলাররা মূল দলে জায়গা পেতে খুব সিরিয়াস থাকবে। সে সাথে লাল সবুজদের পুরনো সদস্যরা তাদের জায়গা ধরে রাখতে কোনো ধরনের আলসেমির আশ্রয় নেবে না।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ- আফগানিস্তান ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল ২৬ মার্চ সিলেটে। তবে এখন এই ম্যাচ ঢাকাতেই হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। নভেম্বরে বাংলাদেশ-ওমান এবং বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচও হতে পারে ঢাকাতেই।