৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি

ফাইল ছবি।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের চেয়ে ভালো ভাষণ বিশ্বের কোন নেতাই দিতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব দরবারে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণে মর্যাদায় স্থান করে নিয়েছে। এই ভাষণ এখন বিশ্ব ইতিহাসের অংশ। সেই ৭ মার্চের ভাষণকে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এ দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান ভালো ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের সকলের ভাষণ ছিলো লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল অলিখিত। ভাষণ শুনে মনে হয়েছে, টেপরেকর্ডার বাজানো হচ্ছে। অত্যন্ত সাবলিল ভাষায় দৃঢতার সঙ্গে ওই অলিখিত ভাষণ তিনি দিয়েছিলেন। 

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ৫০ বছর আগের ওই ভাষণের আবেদন এখনো ফুরিয়ে যায়নি। এখনো সেই ভাষণ বাজালেই হাজারো বাঙ্গালী জড়ো হয়। ১৯ মিনিটের ভাষণ নিয়ে অনেক গবেষণাও হয়েছে। এই ভাষণটি নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে সুভাস বসু বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও- আমি তোমাদের স্বাধীনতা দিবো’। আর বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, তখন আরো দেবো- তবু দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ’। এটাই বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালীর মুক্তির জন্য তিনি সব সময় জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আমাদের ঋণী করে গেছেন। তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সেই ঋণ শোধ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।