জেনে নিন কোন ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি, লাল না সাদা

জেনে নিন কোন ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি, লাল না সাদা

ছবিঃ সংগৃহীত

পুষ্টিগুণের দিক থেকে ডিম সবচেয়ে উপাদেয়। চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডিম পাওয়া যায়। রঙেও রয়েছে তারতম্য।

রঙের ব্যবধানে বোঝা যায় কোনটি দেশি মুরগীর ডিম, কোনটি হাঁসের ডিম। সাদা রঙের ডিম বেশি চললেও এখন লালচে বা খয়েরি রঙের ডিমের ব্যবহার বেশি দেখা যায়। সাদা না লাল কোন ডিমে রয়েছে বেশি পুষ্টিগুণ এবং কোন ডিম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী? 

ডিমের রঙ আলাদা কেন 

বিভিন্ন জিনগত বৈশিষ্ট্যের মুরগী, হাঁসের ডিম ভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। ডিমের খোসার রঙ দেখে কোন মুরগীর বোঝা সম্ভব, তবে পুষ্টিগুণ বিচার করা সম্ভব নয়। সাদা বা হাল্কা রঙয়ের পালকের মুরগীর ডিম সাধারণত সাদা হয়। অন্য দিকে গাঢ় রঙের পালক যুক্ত মুরগির ডিমের খোলসের রঙ লালচে।

পুষ্টিগুণে কী পার্থক্য রয়েছে

গবেষণায় প্রকাশিত তথ্যের বরাতে উঠে এসেছে, একই ওজনের সাদা ও লালচে ডিমের মধ্যে প্রায় সম পরিমাণ প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকে। লালচে ডিমের ওজন সাদা ডিমের তুলনায় বেশি হলেও পুষ্টিগুণে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। পার্থক্য মূলত মুরগির প্রজাতি, প্রজননব্যবস্থা, স্বাস্থ্য এবং খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। যেমন - দেশি মুরগী প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠে, খাবার গ্রহণ করে। এজন্য এ মুরগীর ডিমের কদর বেশি।

কোনটি কিনবেন

সাদা হোক আর লালচে সব ডিমই কেনার উপযুক্ত। ডিমের চেয়ে ডিম উৎপাদনের পরিবেশ এবং খাবার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ডিম উৎপাদনের সাথে রাসায়নিকের সংশ্লিষ্টতা না থাকলে জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত কি না, ডিম বাজার থেকে কেনার সময় খতিয়ে দেখা উচিত। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে উৎপাদন করা হলে সে ডিম স্বাদ-মানের দিক থেকে আলাদা হবে এবং ফার্মের ডিমের তুলনায় বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ হবে।