কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় চিকিৎসকের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় চিকিৎসকের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় মাদক মামলায় চিকিৎসকের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া মিরপুর থানার একটি মাদক মামলায় সরকারী টিবি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: আসাদুজ্জামান ওরফে ফিরোজ (৪১) এর ১৫বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকার জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুর ২টায় কুস্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ন আদালতে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর বাহাদুরপুর কারিকর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কুষ্টিয়া সরকারী টিবি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: আসাদুজ্জামান ওরফে ফিরোজ(৪১)। তবে এমামলার এজাহার নামীয় অপর দুই আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ওই আসামীদ্বয়কে বে-কসুর খালাশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টায় মিরপুর উপজেলা জিয়া সড়কে মাদক উদ্ধার অভিযান চলাকালে সড়কস্থ নাহারুল মালিথার স্বত্ত্বাধীন স’মিলেন মোটর ঘরের ভিতর তল্লাশী চালানো হয়। এসময় সেখান থেকে আসামী ডা: মো: আসাদুজ্জামান ওরফে ফিরোজ, জয়নাল আবেদিন ও নাহারুল ইসলাম গংদের দখল থেকে প্রতি পলি প্যাক থেকে ২শ টি করে মোট ১০টি প্যাকেট ভর্তি মোটা ২হাজার নিষিদ্ধ ঘোষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেন উদ্ধার করে মিরপুর থানা পুলিশ।

এঘটনায় মিরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বাবু বাদী হয়ে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের দ:বি: ১৯(১) এর ৯(খ) ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক জব্দকৃত ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে সৌপর্দ করেন।  মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাব ৩আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশীট দাখিল করেন আদালতে।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে ৩আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত মাদক সরবরাহও কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় ডা: মো: আসাদুজ্জামান ওরফে ফিরোজ(৪১) কে যাবজ্জীবন

কারাদন্ডাদেশসহ ৫০হজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডাদেশ এবং অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর ২জন আসামী জয়নাল আবেদিন ও নাহারুল ইসলামকে বে-কসুর খালাস দেন আদালত।