চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : ইউজিসি চেয়ারম্যান

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ভবিষ্যৎ উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা কী হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আজ ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’-এর ওপর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তুতি ও অগ্রগতি সম্পর্কিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা জোরদার করতে হবে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে শিক্ষা কারিকুলামে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।

উল্লেখ্য, ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুল্যাশন এন্ড বেয়োন্ড (আইসি৪আইআর-২০২১) শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করছে।

সভায় সম্মেলনের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও অগ্রগতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এবং আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সরওয়ার মোরশেদ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সভায় সংযুক্ত হন।

সভায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভিনসেন্ট চ্যাং, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শামীম কায়সার ও সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম আল মামুন তাদের নিজ উপ-কমিটির কাজের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন।

কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানসহ বিভাগীয় পরিচালকবৃন্দ এবং সম্মেলন আয়োজন বিষয়ে গঠিত কমিটি ও উপ-কমিটিসমূহের সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মাঝে যোগযোগের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হবে।

দএকইসাথে শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি সহযোগিতার সেতুবন্ধন তৈরি হবে। ফলে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইণ্টার্নশিপের সুযোগ পাবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের আধুনিক ল্যাব ব্যবহার করে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

সূত্র : বাসস