জন্মদিনে প্রেমিকার মেসে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগল

জন্মদিনে প্রেমিকার মেসে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগল

জন্মদিনে প্রেমিকার মেসে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক যুগল

ছাত্রীমেসে এলাকাবাসীর হাতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পড়ুয়া এক প্রেমিক যুগল। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এক মেসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রেমিকার জন্মদিন পালন করতে অভিযুক্ত ছাত্র ওই মেসে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। পরে স্থানীয় লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতার উপস্থিতিতে ওই ছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজন জানায়, রাতে মেয়েটির জন্মদিন পালন করতে ছাত্রীমেসে ছেলেটি প্রবেশ করে। ভবনের তৃতীয় তলায় জন্মদিনের কেক নিয়ে প্রবেশের সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে পাশের বাসা থেকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা শোরগোল শুরু করলে ছাত্রটি কৌশলে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী আরেক ছাত্রীমেসের ছাদে লাফ দেন।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে ছাদ থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিষয়টি স্বীকার করেন। এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খান ও হোসাইন মজুমদার উপস্থিত হন। বাড়িওয়ালা মোজাম্মেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ নেতারা ওই ছাত্রকে উদ্ধার করেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, মেসগুলোতে নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি না থাকায় তারা অবাধে মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছে ছেলেমেয়রো। প্রায়ই ছেলেদেরকে মেয়েদের মেসের সামনে মধ্যরাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বেশ কিছুদিন ধরে মেসগুলোতে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে। এতে এলাকার সুনাম নষ্টের সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে বলে দাবি তাদের। মেস মালিক ও স্থানীয় লোকজন এসব বিষয় নিয়ে মিটিংয়ের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও অবহিত করবেন বলে জানান।

জানা গেছে, মেসগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তেমন কোনো নিয়ম নেই। অনেক মেসে মালিকরাও থাকেন না। ফলে ইচ্ছেমতো বাইরে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন মেয়েরা। এতে ইভটিজিং, যৌন হরয়ানিসহ নানা ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কার কথা জানান শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। তারা এ বিষয়ে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রবেশের নিয়ম থাকলেও অনেক রাতে বাইরে ঘোরাফেরা করেন বলে জানা গেছে। তারা রাত সাড়ে আটটায় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা বাসে অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে হলে প্রবেশ করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি সকালেই বিষয়টি জানলাম। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন ছাত্র এভাবে রাত্রে বেলা মেয়েদের মেসে যাওয়াটা খুবই আপত্তিকর। এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তারপরও আমরা মেস মালিকদের সাথে কথা বলবো যেনো মেসগুলোতে একটু কঠোর নীতিমালা অবলম্বন করে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সন্ধ্যার পর থেকে প্রক্টরিয়াল বডির তদারকি আরো বৃদ্ধি করবো যাতে করে সন্ধ্যার পর কোনো ছাত্রী হলের বাইরে না অবস্থান করতে পারে।’