ইউক্রেন সংকট : বেলারুশ-রাশিয়ার সামরিক মহড়া শুরু

ইউক্রেন সংকট : বেলারুশ-রাশিয়ার সামরিক মহড়া শুরু

ইউক্রেন সংকট : বেলারুশ-রাশিয়ার সামরিক মহড়া শুরু

পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে বিতর্ক ও শঙ্কার মধ্যেই দুই দেশের প্রতিবেশী বেলারুশের সামরিক বাহিনীর সাথে যৌথ মহড়া শুরু করেছে রুশ সামরিক বাহিনী।

বৃহস্পতিবার বেলারুশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সীমান্তে নির্ধারিত পাঁচটি এলাকায় ১০ দিনের এই মহড়া শুরু হয়।

পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ এক মিত্র বেলারুশ। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়দেশের সাথেই দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।মহড়ায় দুই দেশের মোট কত সৈন্য অংশ নিচ্ছে তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার রুশ সৈন্য এই মহড়ায় অংশ নিতে পারে।

রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘নজিরবিহীন হুমকির মুখোমুখি’ হয়ে রাশিয়া ও বেলারুশ এই মহড়ার আয়োজন করেছে।রাশিয়ার এই মহড়াকে ‘উসকানিমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি দফতর হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যদি আমরা এই সামরিক মহড়ার দিকে লক্ষ্য করি, তবে আমরা একে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি উসকানিমূলক এবং এটি উসকানি প্রশমনের সহায়ক কোনো পদক্ষেপ নয়।’অপরদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কি রাশিয়া ও বেলারুশের মধ্যে এই মহড়াকে ইউক্রেনের ওপর ‘মনস্তাত্ত্বিক চাপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বুধবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ইউরোপিয়ান ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সৈন্যবাহিনী জমা করা আমাদের প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে একটি মনস্তাত্বিক চাপ। এখানে আমরা নতুন কিছুই দেখছি না।’তিনি বলেন, ‘এই ঝুঁকি আগেও সেখানে ছিলো। ২০১৪ সাল থেকেই সেখানে এই ঝুঁকি আছে।’

২০১৪ সালে ইউক্রেনে রুশপন্থী সরকারের পতনের পর রাশিয়া দেশটিতে আগ্রাসন চালিয়ে ক্রিমিয়া অঞ্চলটি দখল করে নেয়। ওই সংঘর্ষ বন্ধে ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যস্থতায় ২০১৫ সালে বেলারুশের মিনস্কে ইউক্রেন ও রাশিয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে।

নতুন করে আবার সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে।ইউক্রেনের অভিযোগ, দেশটির পূর্বাঞ্চলে কিয়েভের বিরুদ্ধে লড়াইরত রুশপন্থী বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সহায়তার নামে ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।

অপরদিকে ইউক্রেনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, সামরিক বাহিনীর মহড়ার অংশ হিসেবে ওই সৈন্য সমাবেশ করা হয়েছে।সৈন্য সমাবেশের জেরে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে।

সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি ও ডয়চে ভেলে