নিজ হাতে নাম লেখার সাধ পূরণ হলো ষাটোর্ধ্ব মালা বেগমের

নিজ হাতে নাম লেখার সাধ পূরণ হলো ষাটোর্ধ্ব মালা বেগমের

নিজ হাতে নাম লেখার সাধ পূরণ হলো ষাটোর্ধ্ব মালা বেগমের

কখনো চক-কলম ধরার সুযোগ হয়নি ষাটোর্ধ্ব মালা বেগমের। নিজ হাতে নাম লিখতে না পারার আক্ষেপ ছিল জীবন ভর। সাধ থাকলেও আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে এলো স্বপ্ন পূরণের দিন। টিপসইয়ের অভিজ্ঞতাকে অতীত বানিয়ে আজন্ম আক্ষেপকে ছুটি দিলেন তিনি। নিজ হাতে নাম লিখতে পেরে হাসলেন বিজয়ের হাসি।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে সাক্ষরতা অভিযানে মালা বেগম স্বাক্ষরজ্ঞান অর্জন করেন। মালা বেগম 

স্বাক্ষর জ্ঞান পেয়ে আবেগাপ্লুত মালা বেগম বলেন, 'আপনেরা এতোদিন কনে ছিলেন! আমি জীবনেও কলম-চক ধরিনি। আমার মেলাদিনের শখ নাম লেখা শেখবো। আপনাগের জন্যি আইজকে নাম লেখা শিখতি পারলাম। আরও আগে আপনেরা আসলি আমি আগেত্তে নাম লেখা শিখতি পারতাম।' 

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মঞ্চে দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চালায় সংগঠনটি। এতে হলের ডাইনিংসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত প্রায় অর্ধশত মানুষকে স্বাক্ষর শেখান তারা। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

কর্মসূচিতে শাখা সভাপতি এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহ ও শাখা সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা আকাশের নেতৃত্বে সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস, সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী খাতুন, দফতর সম্পাদক আশিকুর রহমানসহ অন্য কার্যনির্বাহী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি ঘিরে করে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান দিতে শিক্ষিত সমাজকে উদ্বুদ্ধকরণ, বয়স্কদের মাঝে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, পোস্টারিং ও দেয়াল লিখন।

সংগঠনের সভাপতি এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার শতভাগ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে শিশু, নারী, কিশোর, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিকল্পে আমাদের সাক্ষরতা অভিযান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করতে এই আয়োজন করা হয়।’