ইবির শিক্ষক নিয়োগ বিতর্ক : বোর্ড বাতিলের দাবি, উচ্চ আদালতে রিট

ইবির শিক্ষক নিয়োগ বিতর্ক :  বোর্ড বাতিলের দাবি, উচ্চ আদালতে রিট

ইবির শিক্ষক নিয়োগ বিতর্ক : বোর্ড বাতিলের দাবি, উচ্চ আদালতে রিট

ইসলমী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন শাহবুব আলম নামের এক নিয়োগপ্রার্থী। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী জামারত আলীর মাধ্যমে গত ২৭ অক্টোবর তিনি এ পিটিশন দায়ের করেন। তার রিট পিটিশন নম্বর-১২৮৯৯। একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত বোর্ড বাতিল করে পুনরায় বোর্ড আয়োজনের দাবিতে উপাচার্যের নিকট লিখিত আবেদন করেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে এ বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ইবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামানকে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডে প্রার্থী বাছাই নিয়ে সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধের জেরে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে প্রার্থী চূড়ান্তকরণপত্রে স্বাক্ষর না করেই বেরিয়ে যান বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক বখতিয়ার হোসেন। এতে অমীমাংসিতভাবেই বোর্ড শেষ হয়। এ ঘটনায় পরে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটিতে লিখিত অভিযোগ করেন অধ্যাপক বখতিয়ার। আগামীকাল রবিবার (৩০ অক্টোবর) ২৫৬তম সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগে শাহাবুব আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিধির ২০ ধারা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে সভাপতি হিসেবে উপাচার্য, বিভাগীয় সভাপতি, একজন করে বহিঃবিশেষজ্ঞ ও মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু গত নিয়োগ বোর্ডে একজন সদস্যের অনুপস্থিতিতেই নিয়োগ বোর্ডের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিভিন্নভাবে জানতে পারি, উক্ত নিয়োগ বোর্ড বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়নি, তাই বোর্ডের বৈধতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। বোর্ড যেহেতু বেআইনীভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে, তাই ভবিষ্যতে এই নিয়োগ বোর্ড যে কোন সময় বাতিল হতে পারে। তিনি পুনরায় বোর্ড গঠন করে সাক্ষাৎকার গ্রহণের আবেদন করেন। 

রিটকারী শাহবুব আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেহেতু বিধিতে চারজনের উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে সেহেতু বিভাগীয় সভাপতির অনুপস্থিতিতে বোর্ড শেষ করা বিধি বহির্ভূত, যা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। এজন্য বোর্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি। এ ছাড়া স্বচ্ছ্ব নিয়োগের জন্য পুনরায় বোর্ড গঠনের দাবি করেছি। বিশ^বিদ্যালয়ে এ সংক্রান্ত লিগ্যাল নোটিশও পাঠানো হয়েছে।’

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান, বিভাগের নিয়োগ বোর্ড সংক্রান্ত একটি লিগ্যাল নোটিশ হাতে এসেছে।উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, নিয়োগ বোর্ড হয়েছে, এরপর এবিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে নেওয়া হবে। এর আগে বোর্ড নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা অবৈধ। এবিষয়ে সিন্ডিকেট যদি মনে করে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে তাহলে তা বাদ দিয়ে দিবে।