ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৫৬ ,আহত ৭০০

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৫৬ ,আহত ৭০০

সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভাতে সোমবার এক ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৫৬ জন নিহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশটির গভর্নর এ কথা জানান।

পশ্চিম জাভার গভর্নর রিদওয়ান কামিল কমপাস টিভিতে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘জেলা উদ্ধারকারী প্রধান দলের দেয়া তথ্যমতে ৫৬ জন মারা গেছে এবং ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। কারণ ঘটনাস্থলে এখনো অনেক লোক আটকা পড়ে আছে। আমরা ধরে নিচ্ছি সময়ের সাথে সাথে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে।’

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিম জাভার সিয়ানজুড় শহরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির প্রধান সুহরিয়ানতো বলেছেন, ‘সিয়ানজুর আঞ্চলিক হাসপাতালে ৪৬ জন মৃত এবং প্রায় ৭০০ জন আহত লোক রয়েছে। ধসে পড়া ভবনের আঘাতে অনেকেই আহত হয়েছেন।’

সংস্থাটি জানিয়েছ, সিয়ানজুরের আশেপাশে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল, একটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য পাবলিক সুবিধা সহ কয়েক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য এখনো সংগ্রহ করা হচ্ছে।

দক্ষিণ জাকার্তার একজন কর্মচারী ভিদি প্রিমধানিয়া বলেন, ‘ভূমিকম্পটি খুব শক্তিশালী অনুভূত হয়েছিল। আমার সহকর্মীরা এবং আমি জরুরি সিঁড়ি ব্যবহার করে নবম তলায় আমাদের অফিস থেকে বের হই।’

বিস্তীর্ণ দ্বীপপুঞ্জের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। তবে জাকার্তায় এর পরিমাণ খুব কম।

২৭০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাসকারী এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকায় আগ্নেয়গিরি এবং ফল্ট লাইনের একটি আর্ক ‘রিং অফ ফায়ার’-এর অবস্থানের কারণে প্রায়ই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে আক্রান্ত হয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে একটি ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং ৪৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে, পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ১০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং প্রায় ৬ হাজার ৫০০ জন আহত হয়।

২০০৪ সালে একটি শক্তিশালী ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে এক ডজন দেশে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল ইন্দোনেশিয়ায়।

সূত্র : ইউএনবি, এএফপি