শিশুর খিদে বাড়াতে যা করবেন

শিশুর খিদে বাড়াতে যা করবেন

ফাইল ছবি

বাচ্চাদের খাওয়াতে বসলেই শুরু হয় এক যুদ্ধ। খাবার দেখেই তাদের নাক সিঁটকানো, চিৎকার, কান্নাকাটি। কখনো বাবা-মা বকাবকি করে, কখনো নানাভাবে ভুলিয়ে, গল্পের ছলে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিদিন এই একই জিনিস হয়ে উঠতে পারে ক্লান্তিকর। বকাবকি না করে কয়েকটি ছোট অভ্যাস পাল্টে দেখতে পারেন।

সকালের নাশতায় মনোযোগ
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো সকালের নাশতা। তাই এই খাবার কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়াতে হবে সন্তানকে। এতে নির্দিষ্ট সময়েই বাচ্চার খিদে পাবে।

এ ছাড়া সবসময় একই ধরনের খাবার না বানিয়ে, একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাবার দিন। একই রকম খাবার প্রতিদিন দিলে বাচ্চাদের অনীহা জন্মে যায়।

বার বার খেতে দিন
একবারে অনেকটা খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা না করে বারে বারে খেতে দিন। বড়দের মতো বাচ্চাদের শুধু তিন বেলা খাবার দেবেন না। বারবার অল্প করে খেতে দিলে খিদেও তৈরি হবে। ২-৩ ঘণ্টা পর পর অল্প পরিমাণে কখনো ফল, কখনও স্যুপ, কখনও স্যান্ডউইচ খাওয়াতে পারেন।

জাঙ্ক ফুড নয়
অনেক বাবা-মায়ের দুজনই এখন চাকরি করেন। প্রতিদিন সকালে অফিসের জন্য তাদের বেরিয়ে পড়তে হয়। তাড়ার মধ্যে তাই অনেকেই সহজ খাবার হিসেবে বাচ্চাদের ফাস্টফুড খেতে দেন। স্কুলের টিফিন বা বিকেলের নাশতায় দেন চিপস, কেক, ভাজাপোড়া। এই খাবারগুলো খিদা নষ্ট করে দেয়।

তাই স্বাস্থ্যকর অথচ সুস্বাদু খাবার দিতে হবে শিশুদের। দইয়ের সঙ্গে ফল মিশিয়ে দিন, আপেল টুকরো করে পিনাট বাটারের সঙ্গে দিন, ডিম সেদ্ধ করে কেটে ওপরে একটু সস দিয়ে আঁকিবুকি করে পরিবেশন করুন। দেখতে আকর্ষণীয় হলে খাওয়ার ঝোঁক বাড়ে।

খেলাধুলা
শিশুদের একটু শারীরিক পরিশ্রম না করালে কিন্তু খিদে বাড়ানো সম্ভব নয়। বহু শিশুই সারাদিন ফোন হাতে বসে থাকে। বাচ্চাদের বিকেলে বাড়ির ছাদে নিয়ে যান। খেলাধুলা করান। ছাদে যাওয়া সম্ভব না হলে ঘরের মধ্যেই খেলাধুলা করান।

ডাক্তারের পরামর্শ
সব রকম চেষ্টার পরও যদি সন্তান কিছুতেই খেতে না চায়, তাহলে শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। শারীরিক নানা সমস্যার কারণেও অনেক সময়ে খিদে মরে যেতে পারে। পেটের কোনো রকম সমস্যা হচ্ছে কিনা বা অন্য কোনো রোগের জন্য খিদে মরে যাচ্ছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো।