জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ইউরোপে রপ্তানি বেড়েছে ১৫.০৪ শতাংশ

জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ইউরোপে রপ্তানি বেড়েছে ১৫.০৪ শতাংশ

জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ইউরোপে রপ্তানি বেড়েছে ১৫.০৪ শতাংশ

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১৫ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়েছে। পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি বেড়ে এবার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান অনুসারে, ইউরোপের বৃহত্তম বাজার জার্মানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শূণ্য দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি পোষাক আমদানি করেছে, যার পরিমাণ ৪ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। স্পেন এবং ফ্রান্সে রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। অন্যান্য প্রধান ইইউ দেশ, যেমন ইতালি, অষ্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনে রপ্তানি যথাক্রমে ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ৩২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ৩২ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে পোল্যান্ডে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানিতে ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। 

জুলাই-জানুয়ারি সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২২-২৩ সালের জুলাই-জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।আলোচ্য সময়ে অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি ৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

প্রধানত, অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে রপ্তানি ৯২০ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ৪৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া, অপ্রচলিত বাজার মালয়েশিয়ায় ৯২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মেক্সিকোতে ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ, ভারতে ৫৮ শতাংশ, ব্রাজিলে ৬৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

সূত্র : বাসস