কুবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

কুবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

ছবি: প্রতিনিধি

কুবি প্রতিনিধি: মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা'- এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরু হয় যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

উপাচার্য ড এ এফ এম আব্দুল মঈন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, "বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালি জাতির জন্য ঐতিহ্যবাহী ও গৌরবান্বিত  একটি দিন। বাঙালির জাতির অস্তিত্বের সাথে মিশে রয়েছে পহেলা বৈশাখ। দিনটি প্রতিবছরই আমরা পালন করি। এবছর ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমরা স্বল্প পরিসরে আয়োজনটা করেছি। আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছি এবং এটার পর শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। যদিও স্বল্প পরিসরে কিন্তু আমরা সবাই আনন্দের সাথে এই দিনটি আমরা পালন করেছি।"

ধর্মীয় মুল্যবোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.  হুমায়ুন কবির বলেন, 'মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই। এটা হলো বাঙ্গালি সংস্কৃতির অংশ। আর ধর্ম হচ্ছে আমাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস। ব্যক্তিগত বিশ্বাস আর সংস্কৃতির মধ্যে কখনোই পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়নি। স্থানীয় রীতিনীতি ও সংস্কৃতিকে বাদ দিয়ে ইসলাম কোনো অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমাদের এই অঞ্চলে কেন ইসলাম প্রসার লাভ করেছে তার পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে স্থানীয় রীতিনীতিকে স্বীকার করে ইসলাম তার ধর্মকে বিস্তার করেছে। সুতরাং যারা এখন বলে যে পহেলা বৈশাখ এবং ধর্ম এটা সাংঘর্ষিক এটা তাদের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব বলে আমি মনে করি। তারা ইসলামকে সত্যিকারার্থে ধারণ করতে পারেনি। আমরা বাঙ্গালি হয়েও আমরা মুসলমান এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।'

পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, ''বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং রোজা থাকার কারণে আমরা স্বল্প পরিসরে শোভাযাত্রা করেছি। এরপর আমরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। বৃত্ত কুবির মাধ্যমে আমরা ক্যাম্পাসে আলপনার কাজ করেছি। আজকের নববর্ষ উদযাপনের কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট  সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রশিদুল ইসলাম শেখ, ছাত্র পরামর্শক ড.মোহা.হাবিবুর রহমান, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড.স্বপন চন্দ্র  মজুমদার, নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান, সামাজিক অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন।