প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের পরিকল্পনায় প্রেমের ফাঁদে ফেলার পর কৌশলে নিজের বাসায় নিয়ে গিয়ে তোলা হয় নগ্ন ছবি।  সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় তারা-এমন কর্মকান্ডের অভিযোগে পাবনা শহর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুনসী।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-পাবনা পৌর এলাকার রাধানগরের ময়দানপাড়ার মোশারফ শেখের ছেলে এবং শহরের ফজলুল হক রোডের (খান বাহাদুরের সামনে) জেট এল প্লাজার নীচ তলায় অবস্থিত মুক্ত টেইলার্সের মালিক মুন্না  হোসেন এবং তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন।

পুলিশ সুপার জানান, যশোর থেকে এসে পাবনায় পাটের ব্যবসা করতেন ইসমাইল হোসেন। মাঝে অভিযুক্তদের সাথে পরিচয় হয় তার। পরবর্তীতে মুক্তা খাতুন সুপরিকল্পিতভাবে বাদির সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। সেই সুযোগে পরিকল্পিতভাবে ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নেয়। পরবর্তীতে ধারের টাকা ফেরত  দেয়ার কথা বলে তাকে রাধানগর ময়দানপাড়ায় আসামিদের নিজস্ব বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে গিয়ে বাদিকে ড্রাইনিং রুমে আটক করে মুন্না হোসেন এবং মুক্তা খাতুনসহ তাদের ২/৩ জন সহযোগিদের মাধ্যমে জোরপূর্বক ইসমাইলের নগ্ন করে ছবি তুলে ও কিল ঘুষি, চড় থাপ্পর, লাথি, কাঠের বাটাম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারিভাবে মারধর করে।

তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে আসামিরা ইসমাইলকে প্রাণে মেওে ফেলার এবং নগ্ন ছবি ভাইরাল করার ভয়ভীতি  দেখিয়ে  ৫০ হাজার টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে আরো ৭৩ হাজার টাকা মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত ঠওঠঙ ঢ৬০চৎড় েেমাবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ২০ হাজার টাকা না দিলে নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়।

এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী ডিবি অফিসে অভিযোগ দিলে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে জেট এল প্লজায় অবস্থিত মুক্ত টেইলার্স থেকে তাদেও গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও ২টি মোবাইল  ফোন উদ্ধার করা হয় বলে জানান আকবর আলী মুনসী।এসময় পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-প্রশাসন) মাসুদ আলম, ডিবির ওসি এমরান মাহমুদ তুহিনসহ পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।