সুদান থেকে ফেরা বাংলাদেশীদের সহায়তার আশ্বাস মন্ত্রীর
সুদান থেকে ফেরা বাংলাদেশীদের সহায়তার আশ্বাস মন্ত্রীর
সুদান থেকে ফেরা ১৩৬ বাংলাদেশীকে মন্ত্রণালয় থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।সোমবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুদান ফেরত বাংলাদেশীদের স্বাগত জানানোর পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেছেন, আপনারা সব কিছু হারিয়েছেন। দেশে ফিরেছেন। কিন্তু ওখান থেকে খালি হাতে এসেছেন। আজকে আমরা যা কিছু দেই না কেন, আইওএম আমাদের সাথে আছে। তাদের সাহায্য ছাড়া এই কাজটা অত তাড়াতাড়ি হতো না। আজকে আইএমও আপনাদের কিছু আর্থিক সাহায্য দেবে। আমরা মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ বোর্ড থেকে আপনাদের জন্য কিছু আর্থিক সাহায্য দেবো, যেন এ কয়দিন আপনারা চলতে পারেন। আপনাদের অসুবিধাটা আমরা কিছুটা লাঘব করতে পারব।
তিনি বলেন, এয়ার ফোর্স ওখানে তিনটি প্লেন রেডি করে দিয়েছিল, আপনারা রেডি হলেই আমরা প্লেন ছাড়তে পারব। ওখানে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। আজকে আসার কথা ছিল ২৫০ জন আর আপনারা আসতে পেরেছেন ১৩৬ জন।তিনি আরো বলেন, প্রথম তালিকা ছিল পাঁচ শ’ জনের, এরপর হয়ে গেল চার শ’ জন। এদের সবাইকে যে আমরা ইমিডিয়েট আনতে পারিনি এটার জন্য আমি দুঃখিত। আপনারা আশ্বস্ত হতে পারেন বাকিদেরও শিগগির দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
দেশে ফেরা বাংলাদেশীদের নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে কিভাবে আপনাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এটা ঠিক করতে নাম-ঠিকানার প্রয়োজন হবে।তিনি বলেন, সুদান থেকে বাংলাদেশীদের দেশে ফেরত আনতে কল্যাণ বোর্ড থেকে দুই লাখ ডলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আপনাদের পুনবাসনের জন্য আমাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আছে। আমরা নীতিমালা ঠিক করে দিলে আপনারা ওখান থেকেও সাহায্য নিতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে সুদানে অবস্থা ভালো হলে যেতে পারবেন বা অন্য কোনো দেশে যদি যাওয়ার ব্যবস্থা হয় আমরা সেভাবে ব্যবস্থা করব।
উল্লেখ্য, পোর্ট সুদান থেকে প্রথম দফায় ৭০ বাংলাদেশী নাগরিককে নিয়ে সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইট রোববার দুপুরে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় বিকেলে সৌদি এয়ারফোর্সের আরেকটি বিশেষ ফ্লাইট ৬৬ জন বাংলাদেশীকে নিয়ে জেদ্দায় পৌঁছায়।গত ৩ মে সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে ৬৭৫ বাংলাদেশীকে নিরাপদে পোর্ট সুদানে নেয়া হয়। দুই দফায় মোট ১৩টি বাসে করে তাদের সেখানে নেয়া হয়।