নেদারল্যান্ডসের জয়, বিশ্বকাপ অনিশ্চিত ক্যারিবিয়ানদের

নেদারল্যান্ডসের জয়, বিশ্বকাপ অনিশ্চিত ক্যারিবিয়ানদের

সংগৃহীত

ব্যর্থতার বেড়াজাল ভাঙতে পারছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। খারাপ সময় শেষই হচ্ছে না ক্যারিবীয়দের। স্কোরবোর্ডে ৩৭৪ রান তুলেও হেরে গেছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিপরীতে অবিশ্বাস্য জয় নেদারল্যান্ডসের। সুপার ওভারের নাটকীয়তায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ২২ রানে হারিয়েছে ডাচরা।

এক ওভারে ৩০ রান। অবিশ্বাস্য কিছু হয়ত নয়, তবে যে অহরহও ঘটে তাও নয়। কালেভদ্রেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এমন ঘটনারই জন্ম দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। সুপার ওভারে জেসন হোল্ডারকে সমান তিনটি করে ছক্কা ও চার মেরে ৩০ রান তুলেছেন ভ্যান বিক। যা তাড়া করতে নেমে মোটে ৮ রান তুলতে পারে ক্যারিবীয়রা।

এর আগের ঘটনা আরো কাকতালীয়। দুঃসময়ের বেড়াজাল ভাঙতে ৬ উইকেটে ৩৭৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিপক্ষ পুচকে নেদারল্যান্ডস বলে হয়ত জয়ের স্বপ্নও দেখছিল তারা। তবে সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন করে দেয় ডাচরা, ৪৯ ওভারেই তুলে ফেলে ৩৬৬ রান।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য মোটে প্রয়োজন ছিল ৮ রান। প্রথম ২ বলে ৫ রান তুলে কাজটা অনেকটা সহজ করে ফেলে অরেঞ্জ আর্মিরা। তবে শেষ ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে ৩ রান তুলতে পারে তারা। ফলে টাই হয়ে যায় ম্যাচ। সমান ৩৭৪ রানে খেলা তখন সমতায়। ফলে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়।

হারারের তাকাশিঙ্কা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার চার্লস ও ব্রেন্ডন কিং। উদ্বোধনী জুটিতে দু’জনে মিলে যোগ করেন ১০১ রান। ওপেনার চার্লস ৫৪ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তিনে নামা শামাহ ব্রুকস ইনিংস বড় করতে পারেননি। সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি কিংয়েরও। ফেরেন ৭৮ রান করে।

চারে নামা শেই হোপ করেছেন ৪৭ রান। শেষ দিকে মাত্র ২৫ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন কিমো পল। তবে আসল কাজ করেছেন নিকোলাস পুরান। ৬৫ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার এই ঝড়ো শতকে ৩৭৪ রানের পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাস ডি লিডে নেন দুই উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৭১ রানে তোলে নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ও’ডাউড ও বিক্রমজিত সিংহের মধ্যকার উদ্বোধনী জুটি ভাঙে আরো ৫ রান পর। ম্যাক্স ও’ডাউড ফেরেন ৩৬ রান করে। এক রান বেশি করে আউট হন বিক্রমজিত সিং।

এরপর ওয়েসলি বারেসি, বাস ডি লিডরা থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। যথাক্রমে ২৭ ও ৩৩ রান করে আউট হন দু'জনে। ২৯.১ ওভারে ১৭০ রানে ৪ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। এরপর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ড এবং তেজা নিদামানুরু মিলে ডাচদের টানতে থাকেন। নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের লক্ষ্যে।

এডওয়ার্ডস ৬৭ রান করে আউট হলেও তেজা তুলে নেন শতক, খেলেন ৭৬ বলে ১১১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তাদের দু’জনের ব্যাটে যখন জয়ের আশা দেখছে ডাচরা, তখনই ফেরেন দু’জনে। শেষ ৪ ওভারে তখনো প্রয়োজন ৪৭ রান। এমতাবস্থায় ১৪ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন ভ্যান বিক। খেলা নিয়ে আসেন হাতের মুঠোয়।

তবে শেষ বলে যখন জয়সূচক ১ রান প্রয়োজন, তখন ভ্যান বিক আউট হলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। এরপর তিনিই সেখানে ঝড় তুলেন। ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেই জয় ছিনিয়ে আনেন।