আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আধিপত্য বিস্তারে বদ্ধ পরিকর টাইগাররা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আধিপত্য বিস্তারে বদ্ধ পরিকর টাইগাররা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আধিপত্য বিস্তারে বদ্ধ পরিকর টাইগাররা

রেকর্ড ৫৪৬ রানের ব্যবধানে একমাত্র টেস্ট জয়ের পর তারকা স্পিনার রশিদ খানের প্রত্যার্তনে শক্তিশালী হওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়াডে সিরিজও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বুধবার (৫ জুলাই) সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে জয়ী হয়ে শুরুতেই এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বেলা ২টায়। সিরিজের সব ম্যাচই অনুষ্ঠি হবে এ ভেন্যুতে।

আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে শক্তিশালী একটি দল ছিল আফগানিস্তান। ১৫ ম্যাচের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে তারা। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রাধান্য বিস্তারের খুব একটা রেকর্ড তাদের নেই। দু’দলের মধ্যে ১১ মোকাবেলায় বাংলাদেশ জিতেছে ৭টিতে, আফগানিস্তান ৪টিতে।

দু’দল গত বছর সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখামুখি হলেও তিন ওয়ানডে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। মূলত বেশ কিছু দিন যাবতই ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজ মাঠে বাংলাদেশ অত্যন্ত শক্তিশালী দল। ২০১৫ সালের পর থেকে নিজ মাঠে বাংলাদেশ মাত্র দু’টি ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। দু’টিই হেরেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কাছে। ২০১৬ সালের পর এ বছর ইংলিশদের কাছে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ না হলেও এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজটি অত্যন্ত কঠিন হলেও সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে জিততে পারলে ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো র‌্যাংকিংয়ের পঞ্চম স্থানে উঠবে বাংলাদেশ। এছাড়া সফরকারী আফগানদের হোয়াইট ওয়াশ করতে পারলে প্রথমবারের মতো একশ রেটিং অর্জন করবে বাংলাদেশ।

যদিও র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করাটা গুরুত্বপূর্ণ, একইভাবে টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যতটা সম্ভব খেলোয়াড়দের পরিবর্তন বা রোটেশন করানোটা। তাতে আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য সেরা কম্বিনেশনটা খুঁজে পাওয়া যায়।

ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল আফগানিস্তান সিরিজ ছাড়াও এশিয়া কাপ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার সুযোগ পাচ্ছে।

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছেন,‘আমরা কিছু খেলোয়াড়কে খেলার সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করছি। এরমানে এই নয় যে, তারা এবং আমরা সাপোটিং স্টাফ, জানি আমরা কী করতে চাই। সোজা কথায় খেলোয়াড়দের কোন কোন ক্ষেত্রে কী করতে হবে আমাদের সেটি বুঝতে হবে।’

‘তার মানে এই নয় যে, অতি সন্নিকটে থাকা এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে জরুরি অবস্থায় দলে গভীরতা থাকবে না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা খেলোয়াড়দের একটা সুযোগ দিতে চাই।’

হাতের কব্জিতে ব্যাথা অনুভব করা অধিনায়ক ও ওপেনিং ব্যাটার তামিম ইকবালের ইনজুরি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। কব্জির সমস্যার কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটিও খেলতে পারেনি তামিম। হাথুরু জানিয়েছেন, তামিম খেলতে না পারলেও সমস্যা নেই। কেননা তার হাতে বিকল্প ওপেনিং ব্যাটার ও অধিনায়ক আছে। অবশ্য গত দু’দিন তামিমকে অনুশীলনে দেখা গেছে।
এদিকে রশিদ খানকে দলে ফিরিয়ে এনেছে আফগানিস্তান। তারকা স্পিনারের উপস্থিতিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি বলেছেন, তিনি (রশিদ) একাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।

শাহিদি বলেন,‘অবশ্যই, তিনি (রশিদ) আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু। তিনি দলে থাকায় অধিনায়ক হিসেবে আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। আমি জানি দলের জন্য তিনি সেরাটা দিবেন।’

টেস্ট সিরিজ থেকে অনেক কিছু শেখার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমাদের জন্য এটা ইতিবাচক লক্ষণ। তিনি টেস্ট ম্যাচটি খেলেননি, তবে এখন ওয়ানডে সিরিজে তাকে পাচ্ছি এবং দলের জন্য তিনি সেরাটাই দেবেন।’

বাংলাদেশ দল : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ও নাইম শেখ।

আফগাস্তিান দল : হাশমতুল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াহ হাসান, রহমত শাহ, নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, ইকরাম আলিখিল, রশিদ খান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আব্দুল রহমান, শহিদুল্লাহ, জিয়া উর রহমান ওয়াদফার নোমান্দ, মোহাম্মদ সালিম সৈয়দ শিরজাদ।

সূত্র : বাসস