টাইব্রেকে নবম শিরোপা ঘরে তুলল ভারত

টাইব্রেকে নবম শিরোপা ঘরে তুলল ভারত

সংগৃহীত

ফাইনালটা হলো ফাইনালের মতোই। নির্ধারিত সময়ে দুই দলই ছিল সমানে সমান। টাইব্রেকারের প্রথম পাঁচ শটেও হলো না ম্যাচের নিষ্পত্তি। ষষ্ঠ শটে গিয়ে ভাগ্য দেবতার হাতটা গিয়ে পড়লো ভারতের মাথার উপর।

টাইব্রেকারে কুয়েতকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে সাফের নবম শিরোপা ঘরে তুলল ভারত।

ব্যাঙ্গালোরের শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কুয়েত। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই লিড নেয় তারা। শাবিব আল খালদি দলকে এগিয়ে দেন আল বুলোশির পাসে।

তবে ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি ভারত। ২৪ মিনিট বাদেই সামাদের বাড়িয়ে দেয়া পাস থেকে দলকে সমতায় ফেরান লালিয়ানজুয়ালা।

এরপর চলতে থাকে দুই দলের একের পর এক আক্রমণ। ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়ে চলা সেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে গোলের দেখা মেলেনি কোনো দলেরই। যার ফলে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় সমতায়।

ফলাফল নিষ্পত্তির জন্য এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিটেও এগিয়ে যেতে পারেনি ভারত কিংবা কুয়েত কোনো দলই। আর তাতেই ম্যাচের ফল নিষ্পত্তিতে আশ্রয় নিতে হয় টাইব্রেকারের।

ফাইনালের টানটান উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে দিতে টাইব্রেকারের প্রথম পাঁচ শটের একটি করে মিস করে দুই দলই।

ভারতের হয়ে পেনাল্টি শ্যুট আউটের প্রথমটিতে সুনীল ছেত্রি গোল বের করে আনলেও মিস করেন কুয়েতের আবদুল্লাহ দাহাম। পরের শট গোলে পরিণত করেন সান্দেশ জিনগান ও ফাওয়াজ আল ওতাইবি। তৃতীয় শটেও গোল পায় ভারত-কুয়েত দুই দলই।

ম্যাচে কুয়েত ফেরে চতুর্থ শটের সময়। ভারতের উদান্তা সিং কুমার গোল মিস করলেও টাইব্রেকে সমতা আনেন কুয়েতের আবদুল আজিজ। ফলাফল সে সময় দাঁড়ায় ৩-৩।

পঞ্চম শটেও যখন ম্যাচের সমাপ্তি টানা সম্ভব হয়নি তখন রেফারির নির্দেশে আরও একটি করে শট নেয় দুই দল। এবারে আর ভাগ্য দেবতা মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারেননি ভারতের থেকে। স্বাগতিকদের নাওরেম মাহেশ গল করে ব্যবধান নিয়ে যান ৫-৪ এ। ফিরতি শটে খালিদ ইবরাহিমকে ঠেকিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে নবম শিরোপা নিশ্চিত হয় ভারতের।