সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মারধরে ছাত্রের মৃত্যু

সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মারধরে ছাত্রের মৃত্যু

ফাইল ছবি

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাদে বন্ধুর জন্মদিনের কেক কেটে টিকটক করায় শিক্ষকের মারধরে প্রতাপ চন্দ্র দাশ নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। এছাড়া একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়াসহ আরও সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে স্কুলটিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ছাত্র বাড়ি ফিরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্কুলের ছাদে কেক কাটে প্রতাপ চন্দ্র দাশসহ তার কয়েকজন বন্ধু। এ সময় তারা টিকটক ভিডিও করছিল। বিষয়টি নজরে পড়ে সহকারী শিক্ষক অবকাশ চন্দ্র খাঁর। তিনি এগিয়ে গিয়ে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিষেধ করলে শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। এ সময় তিনি তাদের চড় কিল ঘুষি মারেন। এর পরপরই বাড়ি চলে যায় প্রতাপসহ তার বন্ধুরা।

নিহত প্রতাপের চাচি তাপসী দাশ জানান, প্রতাপ স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে টয়লেটে যায়। সেখান থেকে সে বমি করতে করতে বের হয়। তখন সে পরিবারের সদস্যদের দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলে। তাকে নিয়ে চিকিৎসকের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথেই মৃত্যু হয়।

স্থানীয় আমিনুর রহমান জানান, তার কানে এমনভাবে চর কিল ঘুষি মেরেছে যে, সে বাড়ি ফিরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।

এদিকে, প্রতাপের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সহপাঠীসহ এলাকাবাসী বাড়ি থেকে মরদেহ নিয়ে স্কুল চত্বরে ফিরে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রুমসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করে। সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায়। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে দুইজন শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।