আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

সংগৃহীত

আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন— বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজবাউদ্দীন আহমেদ। আরও বক্তব্য রাখেন আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট জনাব কাজী রফিকুল আলম ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী।

১১তম সমাবর্তনে স্প্রিং-২০১৭, ফল-২০১৭ এবং স্প্রিং-২০১৮ সেমিস্টারের স্নাতক ও স্নাতোকত্তর মোট ২২৩৮ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। স্প্রিং-২০১৭ সেমিস্টারের নাইম হাসান, ফল-২০১৭ সেমিস্টারের মো. শেখ আবরার কবির ও স্প্রিং ২০১৮ সেমিস্টারের জি. এম. শাহরিয়ারকে খান বাহাদুর আহছানউল্লা পদক দেওয়া হয়।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির পূর্বশর্ত শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রণীত ডিজিটাল বাংলাদেশ ও উন্নত, সমৃদ্ধ, সুখী, শান্তিময় বাংলাদেশ বির্নমানে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কাজ করছে বর্তমান সরকার।

এসময় প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর ড. মেজবাউদ্দীন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রধান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল আলম বলেন, শিক্ষা মানুষের মেধা ও মননকে বিকশিত করে। তবে দেশ ও জাতিকে উন্নয়নের শীর্ষে আরোহণ করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী স্নাতকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে, নিজ পরিবার, সমাজ ও দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, ন্যায়পরায়নতা, সততার মাধ্যমে কাজ করবে। মাতা-পিতার অপরিসীম ভালোবাসা, অশেষ সহায়তার কোনো প্রতিদানই যথেষ্ট নয়, তবে কৃতজ্ঞতা ভরে সারা জীবন স্মরণ রেখে তাদের প্রতি সর্ব উপায়ে সদ আচরণের যেনো কোনা ঘাটতি না থাকে। স্নাতক অর্থ এই নয় যে জ্ঞান লাভ করার চেষ্টার সমাপ্তি। জ্ঞান লাভের সময়কাল দোলনা হতে মৃত্যু পর্যন্ত। সদা পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নতুন বিজ্ঞান, প্রকৌশল ভিত্তিক জ্ঞানের উন্নয়ন না হলে বিশ্ব সমাজ হতে ছিটকে পড়তে হবে। তাই তোমাদের থাকতে হবে সদা প্রস্তুত যাতে বিশ্বের প্রথম কাতারে বাংলাদেশ দাঁড়াতে পারে তোমাদের জ্ঞান, মেধার কারণে এবং পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের দূঢ় প্রত্যয়ে।

সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড ট্রাস্টিজের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ, সিন্ডিকেটের সদস্যবৃন্দ, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) প্রফেসর ড. মো. হামিদুর রহমান খান, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরবৃন্দ, আমন্ত্রিত বিভিন্ন অতিথিবৃন্দ।