জিপিএ-৫ পেলেন ফুটবলার মিতু

জিপিএ-৫ পেলেন ফুটবলার মিতু

সংগৃহীত

নারী ফুটবল দল ক্রীড়াঙ্গনে নিজেদের বিশেষ একটি অবস্থান তৈরি করেছে। শুধু খেলায় সাফল্য নয়, সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও তারা বড় ভূমিকা রাখছে। খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন নারী ফুটবলাররা। 

আজ প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অ-১৭ নারী ফুটবলার নুসরাত জাহান মিতু জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার এক বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। জিপিএ ফাইভ পেয়ে বাফুফের ক্যাম্প থেকেই বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন এই ফুটবলার,‘আমি ভোকেশনাল (কারিগরি) থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। পরীক্ষা ভালোই হয়েছিল ফলে আশা ছিল জিপিএ ফাইভের। ’ 

বাংলাদেশ অ-১৭ নারী ফুটবল দল এপ্রিলে সিঙ্গাপুরে এএফসি বাছাই টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই টুর্নামেন্টে খেলেছেন মিতু। ঢাকায় অনুষ্ঠিত জুনিয়র নারী সাফেও খেলেছেন। বাংলাদেশ সিনিয়র দলে খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে চান এই ফুটবলার,‘পড়াশোনা ও খেলাধূলা এক সঙ্গে চালানো কষ্ট এরপরও আমার প্রচেষ্টা রয়েছে দু’টাই চালিয়ে যাওয়ার।’

বাফুফের ক্যাম্পে থাকা ৭ জন ফুটবলার এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ৭ জনের মধ্যে চার জন কৃতকার্য হয়েছেন। মিতুর মতো জিপিএ ফাইভ না পেলেও স্বর্ণা রাণী মন্ডল এবং সাথী বিশ্বাস যথাক্রমে ৪.৬১ ও ৪.২৮ জিপিএ পেয়েছেন। ইতি রাণী পেয়েছেন ৩.৭২। ঐশি, যুথি ও স্বপান রাণী কৃতকার্য হতে পারেননি। 

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নানা সময় নানা নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়। তবে নারী ফুটবলারদের স্বনির্ভরতার করার পেছনে বাফুফের অবদান অনস্বীকার্য। সাবিনা, কৃষ্ণা, সানজিদারা মাঠের পাশাপাশি একাডেমীক ক্ষেত্রেও অনেক পথ এগিয়েছেন। তাদের অনুজদেরও বাফুফে একই পথে রাখার চেষ্টা করছে।