ভারতের ন্যাশনাল পার্কে পাঁচ মাসে ৯ চিতার মৃত্যু

ভারতের ন্যাশনাল পার্কে পাঁচ মাসে ৯ চিতার মৃত্যু

ফাইল ছবি

ভারতের মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত কুনো ন্যাশনাল পার্কে আবারও চিতা বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পাঁচ মাসে নয়টি চিতার মৃত্যু হলো। সবশেষ বুধবার (২ আগস্ট) সকালে ‘ধাত্রী’ নামের মেয়ে-চিতার মৃত্যু হয়েছে।

বহু ঢাকঢোল পিটিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে কুনোর জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা একদল চিতা। উদ্দেশ্য ছিল, ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনা। একসময় চিতা ছিল ভারতে। কিন্তু পরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ভারতের বনে চিতা ফেরানোর এই কেন্দ্রীয় সরকারি প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ায় রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও কুনোয় একের পর এক চিতার মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ভারতীয় আবহাওয়ায় নামিবিয়া থেকে আনা চিতার বেঁচে থাকা কঠিনই। এ ভাবনা আগে থেকেই ছিল। তাই চিতাগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছিল। কুনো ন্যাশনাল পার্কের পশু চিকিৎসকদল এবং নামিবিয়ার এক্সপার্ট টিম যৌথভাবে চিতাগুলোর ওপর নজর রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসেনি। ভারতের বনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি চিতাগুলো।

এদিকে এতগুলো চিতার মৃত্যুতে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বি আর গাভাই, জে বি পারদিওয়ালা ও পি কে মিশ্রের একটি বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে এক্সপার্ট কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, চিতাগুলোকে ঠিকভাবে রাখার জন্য এমন কিছু পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল যা হয়ত সরকার সেভাবে পালন করতে পারেনি।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনে কোনো কমতি ছিল না। যদিও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করেছে বিরোধীরা হয়ত যেকোনো দিন বিষয়টি ইস্যু করতে পারে বলে এক শ্রেণির অনুমান।

সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অভিমত, নরেন্দ্র মোদির ইমেজ বিল্ডিংয়ে এই চিতার ট্রান্সলোকেশন খুবই জরুরি জায়গা দখল করে আছে। আগামী বছর ভোট। তার আগে চিতার মৃত্যু মোদির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবেই।