পর্তুগালের রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

পর্তুগালের রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

সংগৃহীত

পর্তুগালে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ দেশটির রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। ৮ জানুয়ারি সোমবার রাজধানী লিসবনে অবস্থিত পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতির অফিস “প্যালাসিও দ্যা বেলেম”-এ আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি প্রফেসর মারসেলো রেবেলো দ্য সোজা’র কাছে রাষ্ট্রদূত তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোটর শোভাযাত্রা  সহযোগে ’বাংলাদেশ ভবন’ হতে “প্যালাসিও দ্যা বেলেম” পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর রাষ্ট্রদূতের সালাম গ্রহণকালে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পর্তুগালের রাষ্ট্রপতির নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র প্রদানকালে পর্তুগিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জোয়াও গোমেজ ক্রাভিনহো, পর্তুগিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো রিবেরো টেলেস, রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত মারিয়া এ্যামেলিয়া পাইভা, জর্জ সিলভা লোপস, রাষ্ট্রপতির অসামরিক ও সামরিক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর লায়লা মুনতাজেরি দীনা এবং প্রথম সচিব মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রপতি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বিশেষ করে বাণিজ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জোরদার করার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি পর্তুগালের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। পর্তুগালে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি রাষ্ট্রদূতকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থনের আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ পর্তুগালের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের  রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান “৫০০ বছরের” ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তিনি পর্তুগিজ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।