মাদ্রিদ ডার্বিতে শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট হাতছাড়া রিয়ালের

মাদ্রিদ ডার্বিতে শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট হাতছাড়া রিয়ালের

সংগৃহীত

ফুটবলে যে ১ সেকেন্ডের ভরসা নাই, সেটা অনেকবারই দেখা গেছে। শেষ মুহূর্তের গোলে লেখা হয়েছে বহু হতাশার গল্প। এবার সেটার স্বাক্ষী হলো স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। মাদ্রিদ ডার্বিতে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে পয়েন্ট হারালো কার্লো আনচেলত্তির দল।  লা লিগায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে রিয়ালের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ব্রাহিম দিয়াস। ম্যাচ জুড়ে সেই লিড ধরে রাখার পর শেষ সময়ে অ্যাটলেটিকোর হয়ে সমতা টানেন মার্কোস লিওরেন্তে।

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে রিয়াল। ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তিনবার প্রতিপক্ষের পোস্ট বরাবর শট নেয় তারা। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। এই ম্যাচে রক্ষণ জমাট রেখে আক্রমণের চেষ্টায় ছিল অ্যাটলেটিকো।

রক্ষণ জমাট রেখে খেলতে থাকা অ্যাটলেটিকো গোল খেয়ে বসে ম্যাচের ২০তম মিনিটে। ডি-বক্সে বল পেয়েও বিপদমুক্ত করতে পারেনি দলের রক্ষণের খেলোয়াড়রা।  এই সুযোগে লুকাস ভাসকেসের শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে চলে আসে দিয়াসের কাছে। ঠাণ্ডা মাথায় বাকি কাজটা সারেন দিয়াস।

প্রথমার্ধে এই এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে অ্যাটলেটিকো। সমতায়ও ফিরেছিল তারা। তবে গ্রিজমানের কর্নারে সাভিচের দারুণ হেডটি বাতিল হয়ে যায়। ভিএআর দেখে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি, অফসাইডে ছিলেন সাউল নিগেস।

ম্যাচের বাকি সময়ে একের পর এক আক্রমণ করে যেতে থাকে দুই দল। তবে কেউ তেমনভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। রিয়াল তখন পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়ার আশায় বিভোর। কিন্তু চার মিনিট যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে সব ওলটপালট। মেম্ফিস ডিপাইয়ের হেড পাস ডি-বক্সে পেয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার লিওরেন্তে।

এই ম্যাচে দুই পয়েন্ট খুইয়েও অবশ্য লিগ টেবিলে অবশ্য শীর্ষেই থাকছে রিয়াল। ২৩ ম্যাচে ১৮ জয় ও চার ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৫৮। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে জিরোনা। তৃতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫০। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে চার নম্বরে অ্যাটলেটিকো।