গোপালগঞ্জে যারা নির্বাচিত হলেন

গোপালগঞ্জে যারা নির্বাচিত হলেন

ফাইল ছবি

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাশিয়ানী উপজেলায় দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোক্তার হোসেন এবং মুকসুদপুর উপজেলা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. কাবির মিয়া বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া কাশিয়ানী উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. জামিনুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিনাত রেহানা খান এবং মুকসুদপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহারিয়ার কবির ও তানিয়া আক্তার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. গোলাম কবীর তাদেরকে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। সকাল ৮টা থেকে একটানা ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পযর্ন্ত। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।

কাশিয়ানী উপজেলার ৭৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এসব কেন্দ্রের ফলাফলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোক্তার হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩২ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুন্সি ফররুখ হোসাইন মিন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ হাজার ১১২ ভোট। কাজী নুরুল আমিন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৫৭ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. জামিনুর রহমান উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে ৩৬ হাজার ১৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দীনবন্ধু মন্ডল তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১ হাজার ২১২ ভোট। আবুল কালাম আজাদ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৭২ ভোট। সুলতান আহমেদ মোল্যা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ১৬৯ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিনাত রেহানা খান প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ১৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোহাগী রহমান মুক্তা পদ্ম ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৬১ ভোট। মোছা. শামচুন্নাহার হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৯৯ ভোট। তুলি আক্তার ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৪ ভোট।

মুকসুদপুর উপজেলায় রয়েছে ৯৬টি কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রের ফলাফলে মো. কাবির মিয়া ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এম মহিউদ্দিন আহম্মদ মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৮১১ ভোট। আবুল কাসেম রাজ দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পান ২৮ হাজার ৫৪২ ভোট। মো. কাইমুজ্জামান রানা আনারস প্রতীক নিয়ে পান ৩ হাজার ২১৫ ভোট।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহারিয়ার কবির চশমা প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে পান ৩২ হাজার ৭১৫ ভোট। সঞ্জিত সরকার টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৪ ভোট। মো. দুলাল মুন্সী মাইক প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ২৫ হাজার ৬১১ ভোট। দুলাল হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৩২ ভোট।

অন্যদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানিয়া আক্তার হাঁস প্রতীক নিয়ে ৬২ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নাজমা বেগম কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৮৫৬ ভোট। রিনা বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৯৩ ভোট।